রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী ঝড়।
ঝড় চলাকালীন হাতিয়া দ্বীপে রাতের মতো অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ ধারণ করে। এ সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। এ রিপোট লিখা পর্যন্ত বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়নি। গাছপালা ভেঙে পড়ে সড়ক যাগাযোগে বিঘ্ন ঘটে। ঝড়ের সাথে প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে জনজীবনে স্থবির হয়ে পড়ে।
কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরচেঙ্গা মানিক বাজারে অবস্থিত সোনাদিয়া মডেল নূরানী মাদরাসার ঘর ও টিনের চালা দুমড়ে মুচড়ে পুরোটা ভেঙ্গে অনেক দূরে নিয়ে ফেলে।
সোনাদিয়া মডেল নূরানী মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি আবুল হাসেম জানান, ঝড়ে পুরো মাদরাসার ঘর ভেঙ্গে দুমড়ে উড়িয়ে নিয়ে ধান ক্ষেতে নিয়ে ফেলেছে।
এদিকে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে অবস্থিত হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের টিনের চাল কালবৈশাখীতে উপড়ে যায়।
হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শারফুদ্দিন জানান, ঝড়ে কলেজের ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক কলেজে গিয়ে দেখি শ্রেণি কক্ষের টিনের চাল ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
একই ইউনিয়নের কালিরচর এলাকায় সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের বসত ঘরের ওপর গাছ ভেঙ্গে পড়ে ঘরের ব্যাপক অংশ দুমড়ে ক্ষতি সাধন করে। এছাড়াও দ্বীপের বিভিন্ন জায়গার বসতঘর ও মসজিদের টিনের চালা ঝড়ে উপড়ে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে চর চরাঞ্চলের প্রান্তিক পর্যায়ের নিম্ন আয়ের মানুষের ঘর-দুয়ার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণই বেশি।
হাতিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সাথে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে অফিস সহকারি জাকির হোসেন জানান, বিভিন্ন এলাকার চেয়ারম্যান তাদের ক্ষয় ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।