জেলা প্রতিনিধি, বগুড়া: ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া মিঠুন নামে এক যুবককে ছাড়িয়ে নিতে বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় হামলা চালিয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও মাঝিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ও তার সমর্থকরা। শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলামসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলার মাঝিড়া এলাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হামলায় আহতরা হলেন, এসআই আনিসুর রহমান, এএসআই মো. ইমরান মোল্লা ও মো. ইউসুফ আলী, কনস্টেবল রুহুল আমিন, জাহাঙ্গীর আলম ও ইসমাইল হোসেন।
যেকোনো মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে থাক, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই অরুপ আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শনিবার রাত ৯টার দিকে আড়িয়া বাজারে এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে ২টি বার্মিজ চাকু ও দেশীয় অস্ত্রসহ মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিঠুন আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। তার নামে হত্যা, মাদকসহ ৭টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনার জেরে রাত ১০টার দিকে মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ৩০ থেকে ৪০ জন আসামি ছিনতাই করতে শাজাহানপুর থানায় প্রবেশ করে তান্ডব চালান। খবর পেয়ে শাজাহানপুর ওসি শহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিক থানায় প্রবেশ করলে নুরুজ্জামান ও তার সহযোগীরা সিঁড়িতে বসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এ সময় ওসিকে ধাক্কা দিয়ে নুরুজ্জামান ও অন্যরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এর কিছুক্ষণ পরে নুরুজ্জামান লোকজন নিয়ে মাঝিড়া বটতলা এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করে।
পুলিশের সূত্র জানায়, নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা, জমি দখল, সরকারি কাজে বাধা, মাদক আইনে অন্তত ৮-১০টি মামলা রয়েছে।
এসব বিষয় নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার তদন্ত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নুরুজ্জামানসহ ৯ জন আটক আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান আছে।