গাজীপুর: শরিফা আক্তার পপি কর্তৃক সাত লাখ টাকা দিয়ে চাকুরী না পাওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর কৃষিমন্ত্রনালয় গঠিত তদন্ত কমিটি ২য় দফায় তদন্ত করেছে।
মঙ্গলবার(২৫ আগষ্ট) বিকেলে ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব( গবেষনা) সৈয়দা আফরোজা বেগমের পক্ষে মোঃ হোসেন নামে একজন উপসচিব ২য় দফায় তদন্ত করেন। এর আগে বুধবার( (০৫আগষ্ট) দুপুরে কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব( গবেষনা) সৈয়দা আফরোজা বেগম প্রথম দফা তদন্ত করেন।
২৯ জুলাই শরিফা আক্তার পপির অভিযোগ ও চাকুরীর বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ কর্তা্ বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের(ব্রি) উপ-পরিচালক( প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) এমরান হোসেনের বক্তব্যের ভিত্তিতে “বাঁচা মরা এখন সমান” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের পর পপিকে তার প্রতিপক্ষ শাহজাহান কবির নিজ মোবাইল নাম্বার থেকে হুমকি দেয় মর্মে পপির ভাইয়ের করা জিডির উপর ভিত্তি করে আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ব্রি কর্তৃপক্ষ শাহজাহান কবিরের বিরুদ্ধে করা পপির অভিযোগটির দায় নিজের কাঁধে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটিকে নিজ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ উল্লেখ করে একাধিক দৈনিকে প্রতিষ্ঠানের টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দেয়। প্রতিবাদ বিজ্ঞাপনে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম উল্লেখ করে পপির অভিযোগ সম্পর্কে কিছু না বলে অপ্রাসঙ্গিকভাবে ব্রি “র বিরুদ্ধে কৎসা রটনার কথা বলা হয়। সংবাদের শিরোনাম উল্লেখ করলেও ব্রি’ কর্তৃৃপক্ষ পপির অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই না বলায় প্রতিবাদ বিজ্ঞাপনে সত্য আড়াল কারার চেষ্টা করা হয়েছে বলে বলা বলি হচ্ছে। এতে পপির অভিযোগ সঠিক বলে মনে করছেন অনেকে।
তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে শরিফা আক্তার পপি ও তার ভাই হাজী ফারুকের কথা রেকর্ড করেন।
হাজী ফারুক জানান, শাহজাহান কবির ইতোমধ্যে মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার জন্য অনেক লোককে চাপ সৃষ্টি করছেন। নিরাপত্তার জন্য তিনি আদালতে একটি ১০৭ ধারার মামলাও করেছেন।