আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) গাজায় মানবিক সাহায্য বাড়ানোর জন্য ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দেয়া নতুন অন্তর্বর্তী আদেশে খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও আশ্রয়সহ মৌলিক মানবিক পণ্য সরবরাহ বানোর নির্দেশ প্রদানের পাশাপাশি বলা হয়েছে যে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাটিতে ফিলিস্তিনিদের জীবন-মান ক্রমেই অবনতি ঘটছে।
আদালত তার রায়ে বলে, ‘গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিপর্যয়কর বসবাসের পরিবেশের আরো অবনতি ঘটেছে। বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যাপকভাবে খাদ্য ও অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনের প্রকট অভাবের কারণে। আর এসবের টার্গেট হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা।’
বিশ্ব আদালতের এই রায়ের ব্যাপারে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিক মন্তব্য জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা আদালতের সর্বশেষ রায় এখনো পর্যালোচনা করছে। তবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছে যে এতে বোঝা যাচ্ছে যে ইসরাইল ‘জঘন্য অপরাধ’ করছে।
দক্ষিণ আফ্রিকাও এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।
আদালতের রায়ে বলা হয়, ২৬ জানুয়ারির অন্তর্বর্তী পদক্ষেপে পরিস্থিতির পূর্ণ সমাধান হয়নি। এ কারণেই এই রায় দিতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি ইসরাইলকে বেশ কিছু আদেশ পালন করতে বলা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলায় গণহত্যা কনভেশনের আওতায় ইসরাইলকে এসব নির্দেশ পালন করতে বলা হয়।
বৃহস্পতিবারের আদেশে গাজায় গণহত্যা কনভেশন লঙ্ঘনকারী কোনো কাজ না করা নিশ্চিত করতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া এমন কোনো কিছু করতে নিষেধ করা যায় যাতে করে জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠাতে বিঘ্ন ঘটে।
আদালত এক মাসের মধ্যে পরিস্থিতির বর্ণনা করে প্রতিবেদন পাঠাতে ইসরাইলের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য