শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি. গাজীপুরের শ্রীপুরে বাড়ছে অস্ত্রবাজী। আড়াই মাসে ছয় স্থানে ঘটেছে গুলির ঘটনা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হুন্ডা বাহিনীর দৌরাত্ব। এসব ঘটনা জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে আতংক। তরুন যুবকদের হাতে চলে যাচ্ছে অবৈধ অস্ত্র। উঠতি বয়সের তরুন যুবকরা মোটর সাইকেল নিয়ে সড়ক-মহাসড়কে দলবেধে দাপিয়ে বেড়ায়। প্রতিটি গুলির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত হুন্ডা বাহিনী । তরুন যুবকরা সহসাই জড়িয়ে পরছে গুলি আর দখল বাজীতে। অংকুড়ে এসব অপরাধের লাগাম না টানলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপনিতে পারে এমন ধারণা সচেতন মহলের। রবিাবর (২৪মার্চ) দুপুরে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্রীপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি গনের সাথে মত বিনিময় করেন। এসময় সাংবাদিক গন উপজেলার সার্বিক আইনশৃংখলা বিষয়ের সার্বিক চিত্র তোলে ধরেন।
সাংবাদিক গন জানান, গত আড়াই মাসে উপজেলার ছয় স্থানে সাত বার গুলির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রবাজরা গুলির সময় বেছেনেয় রাতের আঁধার। গুলির কাজে ব্যবহার করে মোটর সাইকেল। উঠতি বয়সের তরুন-যুবকরা জড়াচ্ছে এসব অপরাধে।এছাড়া উপজেলার মাওনা, শ্রীপুর, মাষ্টারবাড়ি,কাওরাইদ,বরমী,তেলিহাটি সহ বিভিন্ন স্থানে বেড়ে গেছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌড়াত্ব। সড়ক মহাসড়ক, হাটবাজারে,রেলস্টেসনে হরহামেশাই ঘটে চুরি ছিন্তাই। স্থানে স্থানে চলে অবাধে মাদক বিক্রি।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, গাত ১৪মার্চ ও ২০মার্চ মধ্য রাতে মাওনা ইউনিয়নের মাওনা উত্তর পাড়া গ্রামে সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদ ও স্কুল শিক্ষক আলহাজ¦ আবু নাছেরের বাড়ি পাঁচ দিনের ব্যবধানে দু’বার গুলি ছোড়ে দূর্বৃত্তরা। এর আগে গত এক জানুয়ারি রাত নয়টার দিকে মাওনা ইউনিয়নের ছলিং মোড়ে দূর্বৃত্তরা দ্বাদশ জাতয়ি সংসদ নির্ব্চনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিবাংচনী অফিস সংলগ্ন মো. শফিকুল ইসলাম দুলুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গুলি করে।
পাঁচ ফেব্রæয়ারি রাত তিনটার দিকে শ্রীপুর পৌর আওয়ামিলীগের সাধাণ সম্পাদক মো. নুরে আলম মোল্লার বাড়িতে নয় রাওন্ড গুলি ছোড়ে র্দূবৃত্তরা। বারো ঘন্টার ব্যবধানে ছয় ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে তেলিহাটি ইউনিয়নের মূলাইদ গ্রামের শফিক মোড়ে অস্ত্র উঁচিয়ে হুন্ডা মহরা দেয় কিশোর গ্যাং। ওই মহড়া থেকে সৌদী প্রবাসী মাহাবুবুর রহমান এবং কলেজ শিক্ষক শিপু খন্দকারের বাড়িতে গুলি করে অস্ত্রধারীরা। বরমী ইউনিয়নের ভিটি পাড়া গ্রামবাসী জানায়, সতেরো মার্চ মধ্যরাতে হুন্ডা বাহিনী গুলি বর্ষণ করে ওই গ্রামে দুই শিক্ষকের মাছের খামার দখল করে। বশত বাড়িতে হামলা করে স্বর্ণালংকার লুটেনেয়। এছাড়া গত বছরের ৩০আগষ্টা রাতে মাওনা চৌরাস্তায় যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতার দ্বন্দে গুলির ঘটনা ঘটে। এসব গুলি বাজীর মধ্যে তেইশ ফেব্রæয়ারি রাতে পুলিশ রফিকুল ইসলামকে অস্ত্র-মাদক সহ গ্রেফতার করে।এযাবৎ উদ্ধার হয়নি একটি অবৈধ অস্ত্র। গ্রেফতার হয়নি প্রকৃত অস্ত্রধারীরা। পৃথক সাতটি গুলির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে পাঁচটি। গ্রেফতার হয়েছে বেশ ক’জন। ধরা পরেনি প্রকৃত অস্ত্রবাজরা। উদ্ধার হয়নি অবৈধ অস্ত্র।
স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানাযায়, শ্রীপুরে ক্রমেই অস্ত্রবাজী আর হুন্ডা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্দি পাচ্ছে। নিয়ন্ত্রনে নেয়া হচ্ছেনা কার্যকরি ব্যবস্থা। একই সাথে তরুন প্রজন্ম জড়িয়ে পরছে মাদকের সাথে। সমাজের শান্তি শৃংখলার বজায়ে রাখতে অংকুড়েই লাগাম টানতে হবে অস্ত্রবাজ দের। তা-না হলে ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়বে জনজীবন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরতে পাড়ে অবৈধ অস্ত্রের প্রভাব। অস্ত্রবাজড়ের দ্রুত সময়ে আইনের আওতায় আনা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবী সচেতন মহলের।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আকবর আলী খান বলেন, শ্রীপুরে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী বন্ধ করা হবে। কাওকে চাঁদাবাজী,সন্ত্রাসী করতে দেয়া হবেনা। অপরাধীদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে। অবৈধ অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী,ভূমি দখলকারী,চাঁদাবাজ, স্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় শ্রীপুুরকে শান্তির শ্রীপুর গড়ে তুলা হবে।