সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর মুক্তি পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও বিএনপি প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রচার সম্পাদক মো: মাহবুবুর রহমান খান।
এর আগে বুধবার বিচারপতি মো: রেজাউল হক ও বিচারপতি মো: খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে স্থায়ী জামিন দেন।
গত সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোরশেদ আলমের আদালতে ব্যারিস্টার কাজলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। এরপর তার পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারির মামলায় সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার কাজলকে গত ১৪ মার্চ রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
এর আগে চার দিনের রিমান্ড শেষে ব্যারিস্টার কাজলকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে ব্যারিস্টার কাজলকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদে কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ৭ মার্চ রাতে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকীকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পরদিন ৮ মার্চ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়। নাহিদ সুলতানা যুথি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। এ মামলায় ব্যারিস্টার কাজলসহ ছয় আইনজীবীকে গ্রেফতার করা