ভালোবাসার বন্ধনকে দৃঢ় করার জন্য বিশ্বাস হলো মূল ভিত্তি। পারস্পারিক বিশ্বাস থাকলে সেই সম্পর্ক সুন্দর থাকবেই। বিশ্বস্ত সঙ্গী পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। আপনার সঙ্গী বিশ্বস্ত কি না তা কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখলেই বুঝতে পারবেন। আপনার প্রতি তার অনুভূতির প্রকাশ কিংবা আপনার ভালোলাগার জন্য তার ছোট ছোট প্রচেষ্টা থেকেই অনেক বিষয়ে ধারণা পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মন খুলে কথা বলা
সঙ্গী বিশ্বস্ত হলে সে আপনার সঙ্গে কথা বলার কিংবা যেকোনো বিষয়ে আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তা বুঝবে। সে নিজের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা আপনার সঙ্গে ভাগ করে নেবে। এ ধরনের লক্ষণ দেখলে বুঝতে পারবেন, সে আপনার জন্য বিশ্বস্ত। এর ফলে আপনাদের সম্পর্ক আরও টেকসই হবে।
কথা নয় কাজ
কথায় নয়, কাজেই ভালোবাসার প্রমাণ দেবে আপনার সঙ্গী; যদি সে বিশ্বস্ত হয়। ছোট বা বড় যেকোনো প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করবে। আপনি তার ওপর আস্থা রাখতে দ্বিধা করবেন না। আপনার সুখে এবং দুখে সে কোনো ধরনের চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই আপনার পাশে থাকবে। এমনটা হলে আর মনে কোনো সংশয় রাখবেন না, আপনার সঙ্গী আপনার জন্য বিশ্বস্ত।
প্রাইভেসিকে সম্মান দেওয়া
সঙ্গী যদি আপনার প্রতি বিশ্বাস রাখে তবে আপনার প্রাইভেসিকেও সম্মান জানাবে। প্রত্যেক সম্পর্কের ক্ষেত্রেই প্রাইভেসি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু বিষয়ে প্রাইভেসি থাকবে এবং দু’জনকেই এই বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তবেই একটি সম্পর্ক টিকে থাকবে। তাই সঙ্গী যদি আপনার প্রতি আস্থা রাখে এবং আপনার মতামতকে সম্মান জানায়, তাহলে বুঝে নেবেন সে আপনার জন্য বিশ্বস্ত।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আপনার সঙ্গে বাকি জীবন কাটানোর জন্য সে প্রতীজ্ঞাবদ্ধ? সে কি প্রায়ই দু’জনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলে? বিশ্বস্ত না হলে কেউ অন্য একজনের সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে চায় না। সে যদি তার বিভিন্ন পরিকল্পনা, ক্যারিয়ার, পরিবার বা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলে, তবে বুঝে নেবেন এটি আপনার জন্য একটি সবুজ সংকেত।
কঠিন সময়ে পাশে থাকা
সুখের দিনে অনেকেই পাশে থাকেন কিন্তু কঠিন সময়ে কে থাকে? কঠিন সময়ে সেই আপনার পাশে থাকবে যে আপনাকে ভালোবাসে, আপনার ভালো চায়। আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যদি সে আপনাকে সমর্থন জানায়, উৎসাহ দেয়, আপনার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ায়, তবে মনে আর কোনো দ্বিধা রাখবেন না।