এটাই আমার শেষ নির্বাচন : এরদোগান

Slider সারাবিশ্ব


তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় স্থানীয় নির্বাচন হবে তার শেষ ভোট। রাষ্ট্রীয়-পরিচালিত আনাদুলু বার্তা সংস্থা শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করেছে।

আধুনিক তুরস্কের সবচেয়ে সফল রাজনীতিবিদ এরদোগান তার দেশকে প্রায় দুই যুগ ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০০২ সাল থেকে এক ডজনেরও বেশি নির্বাচনে জয়ী এরদোগান ২০২৩ সালের মে মাসে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোটে পাঁচ বছরের জন্য আবারো প্রেসিডেন্ট হন।

এরদোগান বলেন, ‘এটা আমার শেষ। আইনের আওতায় এটা আমার শেষ নির্বাচন। এই নির্বাচনে যে ফলাফল আসবে, তা আমার পর আমার ভাইবোনদের কাছে স্থানান্তরিত হবে।

উল্লেখ্য, তুরস্কের বিরোধী দলগুলোর মধ্যকার অনৈক্যের কারণে চলতি মাসে অনুষ্ঠেয় মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে এরদোগানের একে পার্টি সহজেই আবার ইস্তাম্বুল জয় করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩১ মার্চে তুরস্কের বৃহত্তম নগরী ইস্তাম্বুলের নির্বাচন এর মেয়র, প্রধান বিরোধী দল সিএইচপির সম্ভাব্য নেতা এবং সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট-প্রার্থী একরেম ইমামুগ্লুর (৫২) রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও নির্ধারণ করে দিতে পারে।

পাঁচ বছর আগে ইমামুগ্লু এবং সেক্যুলার সিএইচপি পার্টি ইস্তাম্বুল নির্বাচনে এরদোগানের ওপর বড় ধরনের আঘাত হানতে পেরেছিলেন। এরদোগানের হোম সিটি ইস্তাম্বুল এবং রাজধানী আঙ্কারায় জয় লাভ করেছিল তারা। এর ফলে নগরী দুটিতে একেপির ২৫ বছরের শাসনে অবসান ঘটে।

তবে প্রায় সিকি শতক ধরে তুর্কি রাজনীতিকে প্রভাব বিস্তার করে থাকা এরদোগান গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সহজেই তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করেন। একইসাথে তার দলও পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।

তবে পাঁচ বছর আগে যে জোট ইমামুগ্লুকে ইস্তাম্বুলে জয় এনে দিয়েছিল, তা এখন ভেঙে গেছে। তার জাতীয়তাবাদী ও কুর্দিপন্থী মিত্ররা এবারের নির্বাচনে আলাদা আলাদা প্রার্থী দিয়েছে।

সাম্প্রতিক জরিপে দুই ধরনের ফলাফল দেখা যায়। এমএকের জরিপে দেখা যায়, ইমামুগ্লুর প্রতি সমর্থন রয়েছে ৪১.৫ ভাগ ভোটারের। তার চেয়ে সামান্য (১.৫ ভাগ) পিছিয়ে আছেন একেপি প্রার্থী মুরাত খুরুম। আর মুরাত গেজিসির জরিপে দেখা যায়, খুরুম ৪৪.১ ভাগের সমর্থন পাচ্ছেন। আর ইমামুগ্লু পাচ্ছেন ৪৩.১ ভাগের।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ ওজার সেনসার বলেন, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। তিনি বলেন, তুরস্কের ভবিষ্যতের রাজনীতির জন্য ইস্তাম্বুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ইমামুগ্লু যদি ইস্তাম্বুলে জয়ী হন, তবে তিনি ২০২৮ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন।

সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *