টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি: ৩ মার্চ কালের কন্ঠ অনলাইনে ও প্রিন্ট ভার্সনে উচ্চ ঝুকিতে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেট শিরোনাম সংবাদ প্রকাশিত হয়। বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্বশরীরে হাজির হয়ে সোনাভান মার্কেটে সতর্কতা জারী করেন।
বৃস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: সোহেল রানা এই সতর্কতা জারী করেন।
ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা বলেন, সোনাভান মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক আগেই এই মার্কেট খালি করতে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু মার্কেট ভবন খালি করা হচ্ছে না। এই মার্কেট ভবন থেকে সিটি করপোরেশন কোন রাজস্ব নেয় না উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, যারা সিটি কর্পোরেশনের নামে রাজস্বের আদলে চাঁদা আদায় করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এই মার্কেট ভবনটি খালি করার বিষয় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত: দেশের বৃহত্তম পাইকারী পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের মোকাম ‘টঙ্গী বাজার’। এই বাজারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘সোনাভান বিপণী বিতান’। এই মার্কেটটি ২০১৩ সাল থেকে মৌখিকভাবে, ২০১৯ সালে চূড়ান্তভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালে ১২ দিনের মধ্যে ভবনটি খালি করার নির্দেশ দিলেও চার বছরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন আদেশ কার্যকর করতে পারেনি। ফলে কয়েক শত ব্যবসায়ী উচ্চতর ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করছেন।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সোনাভান মার্কেটে শতাধিক দোকান রয়েছে। ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় ও ১৫/২০ লাখ টাকা করে সিকিউরিটি মানি দিয়ে প্রতিটি দোকান চলছে। স্থানীয় কাউন্সিলরেরও একাধিক দোকান আছে। তাই ঝুঁকিপূর্ন হলেও কেউ কিছু বলে না। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এখান থেকে সুবিধা নেয়।
সোনাভান মার্কেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি হানিফ মিয়া কালের কন্ঠকে বলেন, ২০২১ সাল থেকে মার্কেটটি পরিত্যক্ত। তবে সিটি কর্পোরেশন রাজস্ব নেয়। শত শত মানুষের নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।
এবিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন বলেন, সোনাভান মার্কেটে আমার দোকান নেই। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। বার বার বলার পরও ওরা সময় নেয়। মান্নান ও জাহাঙ্গীর কোন মেয়রই উচ্ছেদ করতে পারছে না।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান মৃধা বলেন, সোনাভান মার্কেট পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখান থেকে রাজস্ব নেয়ার প্রশ্নই আসে না। বার বার নির্দেশ অমান্য করে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছে। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুতই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে।