মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দশ গ্রামের মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো।এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। দুর্ভোগের মধ্যেও কৃষিপণ্য, পরিবহন,উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ, মানুষ পারাপার, ছোট যানবাহন পারাপার করতে এখন প্রয়োজন বাঁশের এই সাঁকো। সাঁকোটি উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের সাতবেকি(মনামতি) গ্রামে অবস্থিত। সাতবেকি গ্রামের লোকেরা চাঁদা তুলে নিজেরাই নির্মাণ করেছেন এই বাঁশের সাঁকো। বিকল্প হিসেবে সড়কপথ থাকলেও প্রায় ৪থেকে৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়।নিজেদের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয়রা কারো বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ সংগ্রহ, কেউ লোহা, কেউ রশি,কেউ কাঠ এবং বাকিটা যে যার মতো চাঁদা তুলে নদী পারাপারের জন্য নির্মাণ করেছে সাঁকো। সেই সাঁকো দিয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি-ধুনট উপজেলার দশ গ্রামের মানুষ পারাপার হচ্ছে। কয়েক দশক ধরে স্থানীয়রা ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে একটি সেতু নির্মাণের দাবি করে আসছে । হালকা যান চলতে গিয়েও ঘটছে দুর্ঘটনা। আহত হচ্ছে পথচারী। সাঁকোটি ভেঙে গেলে গ্রামবাসী প্রতি বছর তাদের নিজস্ব অর্থায়নে মেরামত করে। সাঁকোর দুই পাশেই রয়েছে প্রায় দুই কিলোমিটার করে কাঁচা সংযোগ সড়ক। উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা,দক্ষিণ জোড়গাছা, সাতবেকি, কড়িতল,ধামাচামা, বড়িয়া, ভালুকাতলা ,জোড়শিমুল,সুনাহাটা গ্রামের প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ বাঙালি নদীর ওপর দিয়ে। বর্ষাকাল ছাড়া পানি না থাকায় এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। ধান, পাট, মরিচসহ কৃষিপণ্য পরিবহনে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। শুকনো মৌসুমে ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের সঙ্গেই জেলার ধুনট উপজেলার আরো তিনটি গ্রামের মানুষও এ পথ দিয়ে চলাচল ও পন্য আনা নেয়া করে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে তা অসম্ভব হয়ে পরে। এব্যাপারে সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী মো: তুহিন সরকার বলেন,আমাদের জাতীয় সংসদ সদস্য জনাবা সাহাদারা মান্নান এপ্রিলের ৬ তারিখে একটি ডিও স্থানীয় সরকার হেডকোয়ার্টারে জমা দিয়েছেন । আমরা ওই পত্রের আলোকে একটি ফরমেট হেডকোয়ার্টারে পাঠিয়েছি।