লক্ষ্মীপুরে লাইসেন্সবিহীন ১৫টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানই স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মানছে না। এতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষিত ১০ দফা নির্দেশনায় বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় বিভিন্ন অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিরাময় হাসপাতাল (প্রা:) ৫ হাজার টাকা, নিউ নিরাময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২ হাজার টাকা ও ভূঁইয়া মেডিকেলকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে নিরাময় হাসপাতালসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি জেলা সিভিল সার্জন আহাম্মদ কবীর চিঠি ইস্যু করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের বন্ধের নির্দেশনা পাওয়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের নিরাময় হসপিটাল (প্রা:) প্যাথলজি, নগর ক্লিনিক, দি মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ট্রাস্ট মেডিকেল সার্ভিসেস, মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সদরের মান্দারী বাজার ইরা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডক্টরস চেম্বার, রামগঞ্জে ইসলামিয়া হসপিটাল, ইসলামিয়া ডায়াগনস্টিক, ডা. এম মাঈন উদ্দিন আল্ট্রাসনোগ্রাফি অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, রামগঞ্জ হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রায়পুরে মা-মনি স্পেশালাইজড হাসপাতাল (প্রা:), মা-মনি স্পেশালাইজড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কমলনগরে ফজুমিয়ার হাট নিরাময় ডিজিটাল ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক স্টোরসহ ১৫টি। তবে নির্দেশনা মানছে না কেউই। পুরোদমে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেরুল হাসান রাজু বলেন, সকল প্রতিষ্ঠানকেই লাইসেন্স করতে বলা হয়েছে। আমাদের সদস্য হতে হলে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। লাইসেন্স করতে বলা ছাড়া সাংগঠনিকভাবে আমাদের অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই।
রায়পুরে মা-মনি স্পেশালাইজড হাসপাতাল (প্রা:) ও মা-মনি স্পেশালাইজড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক অভি সঞ্জয় বলেন, আমরা অনেক টাকা খরচ করেছি। ভবনটি করেছি মাত্র ৩ মাস হয়েছে। সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা আছে। এ মহূর্তে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে আমরা অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখিন হবো।
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর বলেন, ইতোমধ্যে লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানকে আমরা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। যারা বন্ধ রাখছে না তাদের বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান শুরু করা হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে সিলগালা করে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে, লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠান চালানো যাবে না।