ফজর নামাজের পর মঞ্চ থেকে চলছে আম বয়ান, খিত্তায় খিত্তায় মুসল্লিরা বসে মনোযোগ সহকারে শুনছেন সেই বয়ান। তাবলীগের সাথী হয়ে খেদমতের (রান্না) দায়িত্ব পালন করছেন একটি পক্ষ, জিকিরে জিকিরে চলছে মুসল্লিদের ইবাদত। টঙ্গীর ইজতেমায় ময়দান ছাড়িয়ে পরিসর ঠেকেছে সড়কে। যতদূর চোখ যায় সাদা পাঞ্জাবি আর সাদা টুপিতে আল্লাহ্ আল্লাহ্ জিকির চলছে। তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশ যেন ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে।
ভারতের মাওলানা সাঈদ বিন সাদ’র আম বয়ানে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। তার বয়ানটি তাৎক্ষণিকভাবে বাংলায় অনুবাদ করছেন মুফতি ওসামা ইসলাম। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় ভারতের মাওলানা আব্দুল আজিম তালিমে হালকা মোয়াল্লেমেরদের সঙ্গে কথা বলবেন। যোহরের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা শরিফ, তাৎক্ষণিকভাবে বাংলায় অনুবাদ করবেন মাওলানা মাহমুদুল্লাহ্। আসর নামাজের পর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমান বয়ান শুরু করবেন। তাৎক্ষণিকভাবে বাংলায় অনুবাদ করবেন মাওলানা আজিম উদ্দিন। মাগরিবের নামাজের পর ভারতের মাওলানা মুফতি ইয়াকুব বয়ান করবেন। তাৎক্ষণিক বাংলায় অনুবাদ করবেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ আম বয়ানের মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের কার্যক্রম শুরু হয়।
এবারের ইজতেমায় ভারতের দিল্লি মারকাজের মাওলানা সা’দ কান্ধলভী না এলেও এসেছেন তার তিন ছেলে। গত বুধবার মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ, মেজো ছেলে মাওলানা সাঈদ ও ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াসসহ ভারতের নিজামউদ্দিন মারকাজের ১৪ জনের একটি দল গত বুধবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে পৌঁছান।
এদিকে টঙ্গীর তুরাগ তীরের ময়দানে অবস্থান নেওয়া মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে বয়ান শুরু করেন মুরুব্বিরা।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, শুক্রবার আসর পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার বিদেশি মেহমান ইজতেমা ময়দানে এসেছেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে সফিকুল ইসলাম জানান, ইজতেমায় প্রতিদিন প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের খেদমতে নানা কর্মসূচি পালন করছে।