আশুলিয়া-আবদুল্লাহপুর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে র নির্মাণ কাজে ধীরগতিতে জনদুর্ভোগ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

টঙ্গী প্রতিনিধি: ঢাকার আশুলিয়া থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মান হচ্ছে। এটি যুক্ত হবে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার কাওলায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে। এই উড়াল সড়ক চালু হলে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার যানবাহন সরাসরি চলে যেতে পারবে। এর সুবিধা পাবে রাজধানীবাসীও। তবে নির্মাণ কাজে ধীরগতি হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে। তবে এটির নির্মান কাজ শেষ হলে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরেকটি উড়াল সড়ক যুক্ত হচ্ছে। ঢাকার আশুলিয়া থেকে উত্তরার আবদুল্লাহপুর হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে তৈরি হচ্ছে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক।

এই পথ দিয়ে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার যানবাহন ঢাকায় আসা যাওয়া করে। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল হওয়ায় তাই যানজট লেগে থাকে সারা বছর। এই পথের আশুলিয়া-কাওলা পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার হবে উড়াল সড়ক।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৫ সালে প্রকল্প অনুমোদনের সাত বছর পর এই সড়কের কাজ শুরু হয় গত বছর আশুলিয়া- বাইপাল- আবদুল্লাহপুর হয়ে এটি শেষ হবে বিমানবন্দরের কাওলা এলাকায়। এরপর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে যুক্ত হবে। যা শেষ হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ির কুতুবখালীতে।

চার লেনের এই উড়াল সড়কের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। মাটি থেকে ১০ মিটার উপরে নির্মিত হবে সড়ক। ২৪ কিলোমিটার পথে ওঠানামারপথ বা ল্যাম্প থাকবে ১৪টি। আশুলিয়া এলাকায় আলাদা দুটি সেতু নির্মাণ হবে টোল ছাড়া স্থানীয়দের চলাচলের জন্য।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ২০২৬ সালের জুনে কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষের। সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির মূল নির্মাণ কাজ করছে‘ চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট এক্সপোর্ট করপোরেশন’। প্রকল্পের ৬০ শতাংশ অর্থ দিচ্ছে চায়না এক্সিম ব্যাংক।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তিনটি কাজ করছে কাওলা থেকে দৌড় ব্রীজ পর্যন্ত ৯ কিমি এর মধ্যে । তিনটি কোম্পানি হল সিএমসি, সিআরইসি, এমবিইসি।

এমবিসি কোম্পানীর প্রকৌশলী মিঃ এলাম বলেন, আমাদের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিএমসি ব্যাতিত বাকী দুটি কোম্পানি পদ্মাসেতুর কাজ করেছে সফলতার সাথে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৭ সালে। তবে এর আগেই কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।

তিন কোম্পানির ফোর ম্যান আবুল হাসেম কে জানান, খুব দ্রুত কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে।

সুইসগেট এলাকার চায়ের দোকানী মো: নয়ন মিয়া বলেন, নির্মাণ কাজের জন্য ধূলাবালি আমাদের জন্য ক্ষতিকর। তবে উন্নয়ন হচ্ছে তাই কিছু সহ্য তো করতেই হবে।

একজন সরকারী কর্মকর্তা জানান, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তার মাটি সরিয়ে রাখতে বলেছিলাম। কিন্তু কাজ হয়নি।

আব্দুল্লাহপুর এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ মিয়া বলেন, পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন হলে জনগনের ভোগান্তি হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *