২৩ কোটি টাকার সেতুতে নেই সংযোগ সড়ক

Slider গ্রাম বাংলা


গাজীপুর মহানগরীর কালা শিকদার ঘাটে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণের দুই বছর পরও সংযোগ সড়ক না থাকায় সুফল পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। বর্তমানে সেতুটি সড়ক থেকে উঁচু হয়ে পড়ায় উঠানামায় বিকল্পভাবে চলতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

স্থানীয়রা জানান, জনদুর্ভোগ লাঘবে চিলাই নদীর ওপর এ সেতুটি নির্মাণ করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন। সেতুর দক্ষিণ পাশে গাজীপুর শহরের অফিস আদালত, উত্তরে ২৫নং ওয়ার্ড ভুরুলিয়াসহ একাধিক গ্রাম। সেতুটিতে দুই পাশে সংযোগ না থাকায় সাঁকো বেয়ে সেতুর ওপরে উঠে চলাচল করতে হয় এলাকাবাসীর।

ভুরুলিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, প্রতিদিন জেলা শহরের বিদ্যালয়ে যেতে এই সেতু পার হতে কষ্ট হয়। আমার মতো এলাকার প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর একই অবস্থা। সেতু হওয়ার পরও আমাদের বাঁশ কাঠ দিয়ে পার হতে হয়। এখানে বাইসাইকেল, রিকশা-ভ্যান ও মোটরসাইকেল পারাপার করার কোনো সুযোগ নেই।

অটোরিকশা চালক আব্দুস সালাম বলেন, এখান থেকে কোর্টে, ডিসি অফিসে যেতে মাত্র দুই তিন মিনিট সময় লাগে। হেঁটে সেতু পার হয়ে রিকশায় উঠতে হয়। সেতু পার হতে গিয়ে কয়েকজনের হাত-পা ভাঙার ঘটনা ঘটেছে।

গাজীপুর আদালতের আইনজীবী হাবিুবর রহমান বলেন, ভুরুলিয়া থেকে হেঁটে এসে কাঠের সাঁকো দিয়ে খুব কষ্টে সেতু পার হয়ে এসে রিকশায় উঠতে হয়। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। এই সেতু দিয়ে অনেক মানুষ যাতায়াত করে। দেখার কেউ নেই। কিছু দিন আগে একবার উদ্যোগ নিয়ে আর সংযোগ দেওয়া হয়নি। এই সেতুর দুপাশে সংযোগ সড়কের কাজ করা জরুরি

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবুর রহমান বলেন, এই সেতুটি নির্মাণ হলেও দুইপাশে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটা নিয়ে গড়িমসি করছে। এতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। সামনে বর্ষাকাল তাই দ্রুত সংযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কৌশলী এস এম শামসুর রহমান মাহমুদ বলেন, ২০২০-২০২২ অর্থ বছরের সিটি কর্পোরেশন বিশেষ বরাদ্দে সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যার কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। তিনি বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতিতে সেতুটি কাজ শেষ হচ্ছে না। সেতুর দুপাশের সড়কে সংযোগ দেওয়া হয়নি। দ্রুত কাজ শেষ করে সড়কের সংযোগ দিতে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *