ইসরায়েলের বর্বর হামলা চলছেই, গাজায় নিহত ২৬ হাজার ছুঁই ছুঁই

Slider সারাবিশ্ব


ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজারে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে গত একদিনেই নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০ ফিলিস্তিনি।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২৫ হাজার ৯০০ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বর্বর এই আগ্রাসনে আরও ৬৪ হাজার ১১০ জন আহত হয়েছেন।

আনাদোলু বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গত ২১ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ২৪টি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ২০০ জন নিহত এবং আরও ৩৭০ জন আহত হয়েছেন। গাজার এই মন্ত্রণালয় বলেছে: ‘অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।’

মন্ত্রণালয়টি ইসরায়েলকে ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর ফিলিস্তিন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে এবং আল-মাওয়াসি এলাকায় (খান ইউনিসের শহর) গণহত্যামূলক অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে। মূলত সংঘাতের মধ্যেও এসব স্থান নিরাপদ থাকার কথা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

মাঝে হামাসের সাথে এক সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির পর গত ডিসেম্বরের শুরু থেকে গাজা উপত্যকায় পুনরায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিরতির পর শুরু হওয়া এই অভিযানে গাজায় হামলা আরও তীব্র করে দখলদার সেনারা।

আনাদোলু বলছে, ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *