ঢাকা: দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে যান চলাচলের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এবারের ঈদুল আজহায় সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেন কোরবানির পশুর হাট না বসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল’র ২৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এ বৈঠক শেষ হয় পৌনে ৬টায়।
সভায় বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও পরিবহন মালিকদের প্রতিনিধিরা।
সভায় সড়কপথে দুর্ঘটনা রোধে এবং রাজধানী ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে বেশ ক’টি সুপারিশ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- সড়কের বাঁকগুলোতে (টার্নিং পয়েন্ট) বাধ্যতামূলকভাবে ডিভাইডার নির্মাণ; কোনো চালক আট ঘণ্টার বেশি গাড়িতে থাকতে পারবে না, তাকে বিশ্রাম নিতে হবে; ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে পারবে না; চালকদের সঙ্গে লাইসেন্স থাকতে হবে; সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেসব বাজার ও পশুর হাট রয়েছে বা বসতে চাইবে সেগুলো সরিয়ে দিতে হবে। সুপারিশ অনুযায়ী গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে কড়াকড়িভাবে কাজ করবে হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
সভায় রাজধানীকে যানজটমুক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যানজটের কারণ যত্রতত্র পার্কিং ও রাস্তায় দোকান। রাজধানীকে যানজটমুক্ত রাখতে পুলিশের একজন উপ-কমিশনারের (ডিসি) নেতৃত্বে ২০০ রিজার্ভ ফোর্স দায়িত্বে থাকতে হবে। এরা যত্রতত্র পার্কিং এবং রাস্তায় যেন কোনো দোকান বসতে না পারে সে বিয়টি তত্ত্বাবধান করবেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, আমরা যানজট দূর করতে কোনো স্থানের পার্কিং সরিয়ে দিলাম। কিন্তু ক’দিন পর আবার সেখানে পার্কিং শুরু হয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে ওই স্থানটির দায়িত্ব নিতে হবে, যেন সেখানে সিটি কর্পোরেশন অভিযান চালানোর পর আর পার্কিং শুরু না হয়।