গত বছরে ২৮ অক্টোবরের পর শুনশান-নীরবতা ছিল রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। দুই মাস ১৩ দিন পর আজ নেতাকর্মীদের আনাগোনায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে কার্যালয়টি।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী নেতৃত্বে তালা ভেঙ্গে কার্যালয়ের বন্ধ গেট খুলেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা।
এ সময় রিজভী বলেন, ‘আমাদের যুবদলের একজন নেতা ও একজন প্রবীণ সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ নিপীড়নের তাণ্ডব শুরু হয়। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশ এক নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। এই দুই মাসের অধিক সময় পুলিশ কাউকে এখানে ঢুকতে দেয়নি এবং আশপাশে ভিড়লেও তাদের আটক করেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের পর থেকে কোনো কার্যক্রম করতে পারিনি এই কার্যালয়ে। এক প্রকারের পুলিশি বেষ্টনীতে ছিল অফিসটি।’
ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল বলেন, ‘বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য এই কার্যালয়টি তীর্থ স্থানের মতো। এখানে না এলে মনের তৃপ্তির পূর্ণ হয় না।’
আজ বিকেল ৩টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন।
নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেছে পুরো কার্যালয়ে ধুলোবালির স্তূপ জমেছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষগুলো এলোমেলোভাবে পড়ে আছে চেয়ার-টেবিল, কাজগপত্র, পত্রিকা।
গত ২৮ অক্টোবর দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ পুলিশ টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে পণ্ড করে দেয়ার পর থেকে এই কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে যায়। এরপর থেকে সিআইডির ‘ক্রাইম সিন’ স্টিকার লাগিয়ে কার্যালয়ের সামনে সবার প্রবেশ বন্ধ করে রাখে এবং এখান থেকে তারা ১১টি আলামত সংগ্রহ করে।