লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে ইরানি রণতরী আলবোর্জ। দেশটির আধা সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা আজ সোমবার এ খরব প্রকাশ করেছে। ইসরাইল ও হামাসের তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে ইরানি যুদ্ধজাহাজের লোহিত সাগরে প্রবেশ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ইতোমধ্যেই ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনভিত্তিক হাউছিদের সাথে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্ঘাত শুরু হওয়ায় এটি আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
তাসনিম অবশ্য আলবোর্জের মিশনের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেনি। তবে এতে বলা হয় যে ইরানি রণতরীগুলো ২০০৯ সাল থেকে শিপিং রুট নিরাপদ রাখা, জলদস্যূদের প্রতিরোধ করা এবং অন্যান্য কাজ পরিচালনা করছে।
ইরানি ডেস্ট্রোয়ারটি ইডেন উপসাগর এবং ভারত মহাসাগরকে সংযোগকারী কৌশলগত বাব আল-মানদেব প্রণালী হয়ে লোহিত সাগরে প্রবেশ করে।
গাজার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে হাউছিদের ইসরাইলগামী জাহাজের উপর আক্রমণ চালানোর ঘোষণার পর ডিসেম্বরের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্র লোহিত সাগরে তাদের নৌবাহিনী মোতায়েন করার কথা বলে।
হাউছিরা বেশ কয়েকটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। আর রোববার মার্কিন বিমান হামলায় হাউছিদের ১০ যোদ্ধা নিহত হয়। তারা এর প্রতিশোধ গ্রহণের সংকল্প ব্যক্ত করেছে।
উল্লেখ্য, লোহিত সাগর দিয়ে বিশ্ব বাণিজ্যের ১২ ভাগ হয়ে থাকে। সুয়েজ খাল দিয়ে লোহিত সাগরীয় বাণিজ্য সময় ও খরচ দুটিই বাঁচায়।
এদিকে হাউছিদের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব গ্রান্ট শ্যাপস। শনিবার (১ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে ডেইলি টেলিগ্রাফের সূত্রে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, ‘আমরা সরাসরি পদক্ষেপ নিতে ইচ্ছুক। লোহিত সাগরে নৌ চলাচলের স্বাধীনতার হুমকি রোধ করতে আমরা আরো কোনো পদক্ষেপ নিতে হলেও দ্বিধা করব না।’
এ সময় তিনি হাউছিদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এর আগে রোববার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন, তিনি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানকে এক ফোনকলে বলেছেন, ইরানকে লোহিত সাগরে হাউছি হামলা বন্ধ করতে সহায়তা করা উচিত।
সূত্র : রয়টার্স, আল জাজিরা এবং অন্যান্য