মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃ ধুনট উপজেলায় বাঙালি নদীর হেউডনগর গ্রামের বড়বাড়ি এলাকা থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে মাসুদ রানা নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে নদীর তীরবর্তী আবাদি জমি ও জনবসতি।বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বাঙালি নদীর নাব্যতা ফেরাতে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী শাসন প্রকল্পের মাধ্যমে খনন কাজ শুরু করেছে। একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় গভীরতা করে নদীর দুই তীর সিসি ব্লক দিয়ে নদী শাসন প্রকল্পের কাজ চলছে। এ অবস্থায় নদীর তলদেশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে নদী তীর রক্ষা কাজও ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে করে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নকৃত নদী শাসন প্রকল্পের কাজ কোন কাজেই আসবে না।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হেউডনগর গ্রামের মাসুদ রানা প্রায় এক মাস ধরে খনন যন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এতে করে অপরিকল্পিতভাবে নদীর গভীরতা বাড়ছে। নদীর দুই তীরে রয়েছে আবাদি জমি, বসতবাড়িসহ বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা। শুস্ক মৌসুমে নদীর পানি কমে গেছে। এ কারণে বালু উত্তোলনের বিরুপ প্রভাব চোখে পড়ছে না। তবে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়ার সময় বালু উত্তোলন করা গভীর স্থানে প্রবল স্রোতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে নদী ভাঙন শুরু হয়। প্রতি বছর এ ধরণের ভাঙনের শিকার হয় নদী তীরবর্তি মানুষ। রাতদিন সমানভাবে বালু তোলার কারণে একটি অসাধু স্বার্থান্বেষী চক্র আর্থিকভাবে পকেট ভারী করলেও নদীর তীর, কৃষকের ফসলি জমি, নদী শাসন ব্যবস্থা, নদী পাড়ের বাসিন্দারা ক্ষতির মুখে পড়বে। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না।এ বিষয়ে বালু ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী মাঝে মধ্যে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে থাকি। তবে নিয়মিত ভাবে নদী থেকে বালু তোলা হয় না। বালু উত্তোলনের জন্য প্রশাসনের কোন অনুমতি নেই। এ ভাবে বালু উত্তোলন করলে নদী ভাঙন কিংবা তীরবর্তী এলাকার মানুষের কোন ক্ষতি হবে না।ধুনট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল আমিন বলেন, অবৈধভাবে মাটি কর্তন ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। তবে বাঙালি নদী থেকে বালু উত্তোলনের কোন অভিযোগ পাইনি। তারপরও খোঁজ খবর নিয়ে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।