দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জামানত হারাবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান।
রোববার নির্বাচন কমিশনে করা আপিল শুনানির পর রায়ে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে রোববার (৩ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিবের লোকজনের আপত্তির মুখে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন কিশোরগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা।
নাসিরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি একটি মামলার তথ্য গোপন করেছিলেন। এ সময় তিনি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।
আপিল শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য কমিশনারেরা উপস্থিত ছিলেন।
নাসিরুল ইসলাম খানের পক্ষে আপিল শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে নাসিরুল ইসলাম খান বলেন, করিমগঞ্জ তাড়াইলের ১০টা লোকও নাই তার। বিগত তিন টার্ম আওয়ামী লীগের লোকেরা তাকে এমপি বানিয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকেদের সহযোগিতায় এমপি হয়ে সে এখন ফুটানি দেখায়।
এদিকে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আপিলের পর জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করেও আপিল করেছিলেন নাসিরুল ইসলাম খান। ওই আপিলের শুনানি হবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর। আপিলে নাসিরুল ইসলাম খানের অভিযোগ, চুন্নু ঋণখেলাপি হয়েও তথ্য গোপন করে কিশোরগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নের বৈধতা পেয়ে যান।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমার নামে কোনো ব্যাংকে কোনো ঋণ নাই, যেহেতু ঋণ নাই সেহেতু ঋণ খেলাপিরও সুযোগ নাই। ঋণের গ্যারান্টারের কথা বলা হয়েছে, ২০১২ সালে অর্থ ঋণ আদালত একটা জাজমেন্টের মাধ্যমে আমাকে গ্যারান্টার থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা বিদ্বেষ প্রসূত করা হয়েছে।