বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। বৃষ্টির অজুহাতে বেড়েছে সবজির দাম। অন্য দিকে আবারো বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আর পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশী জাতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকা। এসব নিত্যপণ্য গত সপ্তাহে ১০-২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। নতুন আলু ৬৫-৭০ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার তদারকি না থাকায় ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে বিক্রেতারা।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে আড়তে দাম বাড়তি। তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। আর কিছু দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হবে আলু পেঁয়াজের দাম। নতুন আলু পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এখন নতুন নতুন, তাই দাম বেশি।
এ দিকে বৃষ্টির অজুহাতে কিছুটা বেড়েছে সবজির দাম। বাজারে লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, গোল বেগুন ৬০-৮০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, একই দামে বাঁধাকপি। পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ৪০-৬০ টাকা, কচুরলতি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। শিমের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ২০ টাকা কেজির মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। বেড়েছে কাঁচামরিচের দামও। ৮০ টাকা কেজির কাঁচা করিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ৬০ টাকা কেজির ধনিয়াপাতা তিনগুণ বেড়ে হয়েছে ১২০-১৩০ টাকায়। রসুন, আদারও দাম বেড়েছে। এ দু’টি পণ্য ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা হয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দামও কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল ২-৩ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৪-৫৫ টাকা। অর্থাৎ নতুন চাল বাজারে এলেও মাসখানেক আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এখনো।
আটার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। খোলা আটা কিনতে এখন ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে কেজিতে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। আর প্যাকেট আটার কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। খোলা ময়দার দাম কিছুটা কমেছে। ৬০ টাকা কেজির খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দার দাম কমে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নেই বললেই চলে। প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে।
এ দিকে গোশতের দাম কমার প্রভাব পড়েছে মাছের দামেও। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও কিছুটা কমেছে চাষের মাছের দাম। মাঝারি মানের চাষের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। বড় আকারের চাষের তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, ছোট আকারের ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। আর মান ও আকারভেদে চাষের রুই মাছের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। তবে চিংড়ির দাম তেমন কমেনি। প্রতি কেজি চিংড়ি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। শোল মাছের দাম কিছুটা বেড়ে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা হয়েছে। ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি দাম হাঁকানো হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত।
বাজার ঘুরে ভিড় দেখা গেছে গোশতের দোকানগুলোতে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানে গরুর গোশত এখন ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য গত সপ্তাহে ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকায় ঢাকায় গরুর গোশত বিক্রি হয়েছে।
গত সপ্তাহে মুরগির দাম কমলেও এ সপ্তাহে তা কিছুটা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।