গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলিদের উল্লেখযোগ্যহারে শারীরিক ও মানসিক অবনতি ঘটেছে। ইসরাইলের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা ম্যাকাবি হেলথকেয়ার সার্ভিসেস (এইচএমও) পরিচালিত একটি সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলিদের উল্লেখযোগ্যহারে শারীরিক ও মানসিক অবনতি ঘটেছে। নভেম্বরের শেষের দিকে এই সমীক্ষা চালানো হয়। ২০ থেকে ৭৫ বয়সী ৫০০ ইসরাইলির একটি প্রতিনিধি দল ও চারটি এইচএমও এই সমীক্ষা চালায়। এরপর জরিপের ফলাফলে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইসরাইলের এক তৃতীয়াংশ নাগরিক মনে করেন, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তাদের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। গাজায় যারা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের এক চতুর্থাংশের ৩০ শতাংশ বলেন, এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তাদের অবস্থার আরো অবনতি ঘটেছে।
উত্তরদাতাদের এক তৃতীয়াংশ বলেছেন, তারা ম্যামোগ্রাম এবং কোলনোস্কোপির মতো স্পর্শকাতর ক্যান্সার স্ক্রীনিংসহ মেডিক্যাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্থগিত বা বাতিল করেছেন।
প্রেসক্রিপশন ও নন-প্রেসক্রিপশন স্লিপ এইডের বিপুল পরিমাণ বর্ধিত ব্যবহারে এইচএমও-এর রিপোর্টগুলো জরিপের পর ফলাফলে দেখা যায়, ৬৩ শতাংশ ইসরাইলি ঘুমে ব্যাঘাত অনুভব করছে।
খাওয়া ও ব্যায়ামের অভ্যাসের পরিবর্তনে ৩৬ শতাংশ ইসরাইলি ওজন বেড়েছে। এদিকে ওজন কমে গেছে আরো ১৩ শতাংশ। আর খেলাধুলায় অভ্যস্ত ৬২ ভাগ লোকের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া মনোবিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে নানা উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অবশেষে যুদ্ধ আসক্তিমূলক আচরণের ওপর প্রভাব ফেলেছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৫৬ শতাংশ ধূমপায়ী ধূমপান বড়েছে বলে স্বীকার করেছে। নিয়মিত অ্যালকোহল পানকারীরাও স্বীকার করেছেন, তাদের সেবন বেড়েছে।
সূত্র : টাইমস অফ ইসরাইল