শাহজাহান ওমরের হলফনামায় নেই মামলার তথ্য

Slider বরিশাল


বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর জেল থেকে বের হয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। তার নামে বর্তমানে ফৌজদারি কোনো মামলা নেই বলে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন। তবে ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় দুটি মামলার কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

শাহজাহান ওমরকে গত ৪ নভেম্বর রাতে আটক করে পুলিশ। পর দিন তাকে ঢাকার নিউমার্কেট থানার বাসে আগুন দেওয়ার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। ওই মামলায় তাকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। গত ২৯ নভেম্বর ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান তিনি। সন্ধ্যার পরই কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। পর দিন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ইউটিসি ভবনে নিজেই সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান শাহজাহান ওমর।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় শাহজাহান ওমর স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে বাড়ি, কৃষিজমি ও অ্যাপার্টমেন্টের কথা উল্লেখ করলেও এবার তিনি স্থাবর সম্পদ হিসেবে কিছুই উল্লেখ করেননি।

হলফনামায় দেখা গেছে, শাহজাহান ওমর কৃষি খাত থেকে ১ লাখ সাড়ে ৫ হাজার, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ২৭৭, ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৭ এবং শেয়ার ও ব্যাংকের লভ্যাংশ থেকে ৯ লাখ ১৬ হাজার ২২৬ টাকা আয় করেছেন। তবে ২০১৮ সালে তিনি আয় হিসেবে কৃষি খাত থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার, শেয়ার ও ব্যাংক লভ্যাংশ থেকে ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ২৩২ এবং পেশা থেকে ১০ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা উল্লেখ করেছিলেন।
অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে শাহজাহান ওমরের কাছে নগদ ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৫২৭ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৮৫৭ , এফডিআর হিসেবে ১ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা আছে। তবে ৫ বছর আগের হলফনামায় নগদ ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৪৪, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৩ এবং এফডিআর হিসেবে ২ কোটি ১২ লাখ ৪২ হাজার টাকা ছিল। সেই হিসেবে তার অস্থাবর সম্পদ কমেছে।

তবে হলফনামার তথ্য অনুযায়ী শাহজাহান ওমরের স্ত্রীর নামে সম্পদ বেড়েছে। ২০১৮ সালে তার স্ত্রীর নামে নগদ ৭০ হাজার ৮৭৭ টাকা থাকলেও ২০২৩ সালে ৩৫ লাখ ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা আছে। অর্থাৎ ৫ বছরে স্ত্রীর কাছে প্রায় ৫০ গুণ নগদ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৩, স্থায়ী আমানত ও এফডিআর বাবদ ১ কোটি ১ লাখ টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২১২ টাকা। স্থায়ী আমানত ও এফডিআর ১ কোটি ৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৯ টাকা ছিল।

শাহজাহান ওমরের ৬০ লাখ ৭০ হাজার দামের একটি গাড়ি আছে। তার স্ত্রীর গাড়ির দাম দেখানো হয়েছে ১৭ লাখ ৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া উভয়ের আসবাবসহ আরও ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার সম্পদ আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও তিনি একই ধরনের তথ্য উল্লেখ করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *