ইসরাইলের একটি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাস যে হামলা চালিয়েছিল, ওই সময়ই এই ঘটনা ঘটে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের উদ্ধৃতি দিয়ে জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হামলায় ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ওই হামলার ফলে যেখানে পরমাণু অস্ত্রগুলো রাখা হয়েছিল, তার কাছাকাছি স্থানে আগুন ধরে গিয়েছিল।
ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিটসের নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক কান্স ক্রিস্টেনসেন দাবি করেন, ইসরাইলের কাছে ২৫ থেকে ৫০টি পরমাণু-সক্ষমতার জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যাটেলাইন ছবির মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
গত ৭ অক্টোবর স্থানীয় সময় ১০টার দিকে হামাসের রকেট হামলায় ঘাঁটিটিতে আগুন ধরে যায়।
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর ওপর আল-কুদস বিগ্রেডের ভয়াবহ হামলা
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর ওপর ভয়াবহ হামলা করার দাবি করেছে আল-কুদস ব্রিগেড। খান ইউনিসের উত্তর ও পূর্ব দিকে তারা ইসরাইলি সৈন্য ও সামরিক যানের ওপর এসব হামলা চালায় বলে জানিয়েছে।
প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানিয়েছে যে তারা গাজা উপত্যকায় তিনটি ইসরাইলি ট্যাংক, একটি ট্রুপ ক্যারিয়ার এবং একটি বুলডোজারকে টার্গেট করেছে।
তারা জানায়, তাদের যোদ্ধারা জুহর আল-দিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মধ্য গাজায় ইসরাইলি সামরিক অবস্থানগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে।
তেল আবিবে হামাসের রকেট হামলা
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে রকেট হামলা করেছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা নানা ভিডিওতে দেখা যায়, গাজা থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ব্যারেজকে তেল আবিবের আকাশে বাধা দেয়া হচ্ছে। এ সময় সেখানে বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ ঘটনায় হামাস রকেট হামলার দায় স্বীকার করে। তারা বলে, ইসরাইলি বাহিনীর হাতে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়েছে।