সিরাজগঞ্জ-৫ (চৌহালী-বেলকুচি) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচন করতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক মৎস ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একই আসনে সংসদ নির্বাচন করতে বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের জামাতা নুরুল ইসলাম সাজেদুল।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে মনোনয়নপত্র নেয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, ‘স্থানীয় নেতাকর্মী ও নির্বাচনী এলাকার জনগণের চাপে আমি সংসদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে মঙ্গলবার পদত্যাগ করে বুধবার মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছি। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক বরাবর মনোনয়নপত্র দাখিল করব।’
নুরুল ইসলাম সাজেদুল বলেন, ‘সংসদ সদস্য নির্বাচন করার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেছি। গতকাল জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে চৌহালী-বেলকুচি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছি।’
আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ২০০৮ সালের নির্বাচনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন দেয়া হয় শিল্পপতি আব্দুল মজিদ মন্ডলকে। ২০১৮ সালে এই আসন থেকে মনোনয়ন পান আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে আব্দুল মমিন মন্ডল। এবারো মমিন মন্ডলকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও তার জামাতা নুরুল ইসলাম সাজেদুল একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন। নুরুল ইসলাম সাজেদুল গত উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বেলকুচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।