ঢাকা: লোকসভার সদস্যদের বহিষ্কার গণতন্ত্র হত্যার সামিল বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সোমবার (০৩ আগস্ট) ‘বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টির অভিযোগে ভারতের লোকসভায় ২৭ কংগ্রেস সংসদ সদস্যকে পাঁচ দিনের জন্য বহিষ্কার করেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। এ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সোনিয়া গান্ধী ওই মন্তব্য করেন। এদিকে, সংসদ সদস্য বহিষ্কারের ঘটনার প্রতিবাদে পার্লামেন্ট ভবনে ‘গান্ধীমূর্তি’র সামনে মঙ্গলবার (০৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন কংগ্রেস সংসদ সদস্যরা। পাঁচদিন ধরে এই বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিক্ষোভে সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যোগ না দিলেও দলের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মহমোহন সিংসহ ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চ (রাজ্যসভা) ও নিম্ন কক্ষের (লোকসভা) কংগ্রেস দলীয় সদস্যরা যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা কমল নাথ বিক্ষোভকালে বলেন, আমি কখনোই এমন আক্রমণাত্মক বহিষ্কার দেখিনি। এই আদেশ গণতন্ত্রকে পিষ্ট করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যসভা থেকেও ‘ওয়াক আউট’-এর চিন্তা চলছে কংগ্রেসে। রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে বলেছেন, তিনি নিজের কথা বলাতেই বেশি আগ্রহী। ভারতের জনগণের কথা তার শোনা উচিত। এ সময় তিনি সংসদকে চালু রাখার পূর্বশর্ত হিসেবে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) তিন বিতর্কিত নেতার পদত্যাগও দাবি করেন। এদিকে, কংগ্রেসের বিক্ষোভের সমালোচনা করে মঙ্গলবার সকালে বিজেপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার ও উন্নয়নের পথে বাধার সৃষ্টি করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেসের চলমান বিক্ষোভ ও অসহযোগিতায় বেশ বেকায়দাতেই পড়ে গেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। মোদি সরকারের ‘পণ্য ও সার্ভিস ট্যাক্স (জিএসটি) বিল’ পাশ করতে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। আর এ জন্য লোকসভা ও রাজ্য সভায় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন দরকার ক্ষমতাসীনদের। নিম্নকক্ষে উৎরে গেলেও বিলটি পাশ করতে উচ্চকক্ষে সংখ্যালঘিষ্ঠ বিজেপি’র কংগ্রেসের সমর্থন প্রয়োজন।