গ্রাম বাংলা ডেস্ক:প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, প্রতিটি স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়াইফাই জোন করার পাশাপাশি সারাদেশে এক লাখ ওয়াইফাই জোন করা হবে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা হবে।
শনিবার দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কছিমন নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জয় বলেন, কেউ ভাবতে পারেনি বেসরকারি কোম্পানির আগে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক থ্রিজি চালু করবে। কিন্তু আমরা তা করে দেখিয়েছি।
তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে ২৫ হাজার কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। সারাদেশে এক লাখ ওয়াইফাই জোন করা হবে যেন বাংলাদেশের মানুষ বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।
জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ।
এসময় এলজিআরইডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, অল্প শিক্ষিত মুর্খ তারেক রহমানের সাথে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত সজীব ওয়াজেদ জয়ের কোনো তুলনা চলে না। পীরগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে এক জনসভায় জয়কে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে স্বাগত জানান তিনি। এসময় তিনি ঘোষণা দেন, রংপুরে আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টি ছাড়া আর কারো অস্তিত্ব থাকবে না। বৃহত্তর রংপুরের উন্নয়নের সব দায়িত্বভার সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাতে তুলে দেয়ারও ঘোষণা দেন এই প্রতিমন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্রিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম প্রমুখ।
জয় শনিবার বেলা সোয়া ১২টায় সড়কপথে ঢাকা থেকে রংপুরের পীরগঞ্জে লালদীঘিতে তার পৈত্রিক নিবাসে যান। সেখানে জয় সদনে বিশ্রাম নিয়ে পিতা ড. ওয়াজেদ মিয়া ও দাদা দাদির কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি কছিমননেছা মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জনসভায় বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সহায়তায় নতুন কম্পিউটার ল্যাবের উদ্বোধন করেন। এরপরই জয় পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শাহ আব্দুর রউফ কলেজ ও কছিমননেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ওয়াইফাই সংযোগের উদ্বোধনের পাশাপাশি সেখানে টেলিটকের থ্রি-জি সেবা উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি ৫০টি গ্রামের তিন হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের জন্য বিদ্যুৎ সেবা চালু করেন।