ঢাকা: বহু কাঙ্ক্ষিত উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্ট কার্ড প্রথমে ঢাকার ভোটারদেরই দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে গতবারের ভোটাররা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লেমিনেটেড কার্ডের পরিবর্তে স্মার্ট কার্ড পাবেন। সোমবার (০৩ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আশা করি এ মাসের শেষেই অথবা আগামী মাসের শুরুতে স্মার্ট কার্ড উৎপাদনের যেতে পারবো। প্রথমে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার ভোটাররা আগে উন্নতমানের এ কার্ড পাবেন। পরে জেলা ও থানা পর্যায়ে তা বিতরণ করা হবে। তবে কখন-কিভাবে এ কার্ড বিতরণ করা হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রথমে ঢাকায় ওয়ার্ড ভিত্তিক পরে জেলা ও থানা ভিত্তিক কার্ড বিতরণ করা হতে পারে বলেও যোগ করেন শাহ নেওয়াজ। তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে নতুন যে ৪৭ লাখ নাগরিক ভোটার হয়েছেন, তাদের কোনো কার্ড দেওয়া হয়নি। তাই তাদের স্মার্ট কার্ডই দেওয়া হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ছিটবাসীদের ভোটার করার বিষয়ে তিনি বলেন, মাত্রই বিনিময় হলো। এখন সেসব এলাকার সীমানা নির্ধারণ হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সীমানা নির্ধারণ করে ইসিকে জানানোর পর ওই সব এলাকায় ভোটার গণনা হবে। এরপর তারা স্মার্ট কার্ড পাবেন। ফ্রান্সের ওভার্থোর নামে একটি কোম্পানি ৯ কোটির বেশি নাগরিকের স্মার্ট কার্ড প্রস্তুতের কাজ করছে। দেশে বর্তমানে ভোটার রয়েছেন ৯ কোটি ৬২ লাখ। এর মধ্যে ৯ কোটি ২০ লাখ নাগরিকের লেমিনেটেড এনআইডি কার্ড রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, স্মার্ট কার্ড প্রস্তুতের জন্য আমেরিকা থেকে ১০টি মেশিন কেনা হয়েছে। এর একটি বসানো হয়েছে রাজধানীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে স্থাপিত ইসির এনআইডি অনুবিভাগে। যা জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। অন্য নয়টি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে বসানোর কাজ চলছে। এর একটি ব্যবহার করা হবে গত বছরের ৪৭ লাখ ভোটারের স্মার্ট কার্ড তৈরির জন্য। অবশিষ্ট আটটি মেশিন দেশের অন্য নাগরিকের কার্ড ছাপাতে কাজ করবে। এক্ষেত্রে প্রতি মেশিনে মাসে ৫ লাখ কার্ড প্রস্তুত করা হবে। প্রতি কার্ড তৈরিতে ইসিকে প্রায় ২ ডলার খরচ করতে হচ্ছে। যা বিনামূল্যে নাগরিকদের দেবে ইসি। এরপর নবায়ন, হারানো কার্ড উত্তোলন বা সংশোধনের জন্য ইসি নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই তা কার্যকর করবে কমিশন।