গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালে প্রবেশ করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। এর ফলে হাসপাতালে থাকা রোগী, চিকিৎসক, বাস্তুচ্যুতসহ প্রায় সাড়ে সাত হাজার লোক ঝুঁকি এবং বিপদে পড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বেশ কয়েকটি এক্স পোস্টের মাধ্যমে আল-শিফা হাসপাতালে তাদের প্রবেশ করার কথা জানিয়েছে।
সামরিক বাহিনী জানায়, তাদের সৈন্যরা মেডিক্যাল টিম, আরবি ভাষাভাষী লোককেও সাথে নিয়েছে ‘জটিল ও স্পর্শকাতর’ পরিবেশে হামলার কাজে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা ‘আল-শিফা হাসপাতালের নির্দিষ্ট অংশে’ হামাসের সাথে লড়াই করছে।
তবে হাসপাতালে তাদের কোনো যোদ্ধা নেই বলে জানিয়েছে হামাস।
হাসপাতালে প্রবেশ করার আগে ইসরাইলিরা সেখানে ঢোকার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। তারা আরো জানায়, কেউ যেন দরজা বা জানালা বা গেটের কাছাকাছি না থাকে। কারণ ইসরাইলের বিশেষ বাহিনী ওই মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে ঝটিকা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
তারা জানায়, হাসপাতালের ভেতরে থাকা হামাসের সামরিক কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করার জন্য তারা সেখানে প্রবেশ করছে।
গাজায় পরমাণু হামলার বিষয়ে ইসরাইলি মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে চীন
গাজা উপত্যকায় পারমাণবিক বোমা ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের একটি বিকল্প বলে মন্তব্য করায় ইসরাইলি ঐতিহ্যবিষয়ক-মন্ত্রীর নিন্দা জানিয়েছে চীন, ইরান এবং কয়েকটি আরব দেশ। তারা এই মন্তব্যকে বিশ্বের জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে একটি পারমাণু মুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা লক্ষ্যে জাতিসঙ্ঘের দীর্ঘ পরিকল্পিত সম্মেলনের উদ্বোধনে অনেক রাষ্ট্রদূত ঐতিহ্যবিষয়ক-মন্ত্রী আমিহাই ইলিয়াহুর মন্তব্যের প্রতিবাদ ও সমালোচনা প্রকাশ করেন।
তবে রোববার এক রেডিওতে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইলিয়াহু তার মন্তব্য ‘রূপক’ বলে দাবি করেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন এবং মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে তাকে বরখাস্ত করেন।
ইসরাইল তার পারমাণু সক্ষমতা নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি। তবে ইসরাইলের বিপুল পরিমাণ পারমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। পারমাণু চুল্লির এক সাবেক কর্মকর্তা ১৯৮৬ সালে একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রে অস্ত্রাগারের বিবরণ এবং ছবি ফাঁস করেন। এর জন্য তিনি ১৮ বছর ইসরাইলি কারাগারে বন্দী ছিলেন।
চীনের জাতিসঙ্ঘের উপ-রাষ্ট্রদূত গেং শুয়াং ইসরাইলি মন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিরক্তিকর বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, তাদের সর্বজনীনভাবে নিন্দা জানানো উচিত।
তিনি ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিবৃতি প্রত্যাহার এবং পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে বিবেচিত চুক্তির একটি পক্ষ হওয়ার আহ্বান জানান।
ওমানের জাতিসঙ্ঘের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আল-হাসান বলেন, গাজায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি দখলদারিত্বের ভয়াবহ ও বর্বরতাকে পুনরায় নিশ্চিত করে।
তিনি জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং আইএইএকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া লেবানন ও ইরানের প্রতিনিধিরাও ইলিয়াহুর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন।
সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি এবং অন্যান্য