মধ্যপ্রাচ্যের রণাঙ্গনে নতুন মাত্রা। ইউক্রেন এবং গাজায় যুদ্ধের আবহে এবার নতুন অশান্তির মেঘ পশ্চিম এশিয়ায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাতে অংশ নিয়েছে বিশ্বের দুই বৃহৎ শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় সোমবার রুশ এবং আমেরিকার বিমানবহর হামলা চালিয়েছে।
পেন্টাগনের ‘নিশানায়’ ছিল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ঠিকানা। অন্য দিকে, রুশ বিমানবহর হামলা চালিয়েছে আসাদবিরোধী বিদ্রোহী বাহিনীর একাধিক আস্তানায়। রুশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের সাতটি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে তারা। ইদিলিবে রুশ বিমানহানায় অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে আসাদ বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন আমেরিকার যুদ্ধবিমান। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ার যুদ্ধে রাশিয়ার অংশগ্রহণ পশ্চিম এশিয়ায় নতুন করে সঙ্কট তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে মদত দিতে শুরু করেছিল আমেরিকা। পরবর্তী সময়ে আইএস উগ্রবাদীদের মোকাবেলায় পূর্ব সিরিয়ার ডেইর-এজ জাওয়ার প্রদেশ এবং উত্তর-পূর্বের হাসাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছিল পেন্টাগন। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পরে সিরিয়া থেকেও বেশ কয়েকটি ঘাঁটি সরিয়ে নিয়েছিল জো বাইডেন সরকার। তবে এখনো সেখানে আসাদবিরোধী বাহিনীর দখলে থাকা অঞ্চলে আমেরিকার সমারিক উপস্থিতি রয়েছে।
অন্য দিকে, পুতিন গত এক দশক ধরেই সামরিক মদত দিচ্ছেন ইরানের ঘনিষ্ঠ আসাদকে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা