যে কারণে বন্দীদের মুক্তি দিতে পারছে না হামাস

Slider সারাবিশ্ব

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন তাদের হাতে আটক বেশ কয়েকজন বন্দীকে মুক্তি দিতে আগ্রহী। কিন্তু ইসরাইলের কারণেই তারা তা কার্যকর করতে পারছে না বলে জানিয়েছে। ইসরাইল বার বার সমঝোতার একেবারে শেষ মুহূর্তে শর্ত পরিবর্তন করার চেষ্টা করার কারণে সব প্রয়াস ভণ্ডুল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লন্ডনে হামাসের সিনিয়র প্রতিনিধি এবং সংগঠনটির পলিটব্যুরোর সদস্য ওসামা হামদান আল জাজিরাকে ফোনে বলেন, বন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে বেশ কয়েকবার সমঝোতার কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু ইসরাইলের কারণেই তা হয়নি।

তিনি বলেন, সর্বশেষ যে সমঝোতা হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল যে হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের মধ্য থেকে ৫০ জনকে মুক্তি এবং পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইসরাইল তাদের কারাগারে বন্দী ২০০ শিশু এবং ৭৫ নারীকে মুক্তি দেবে।

তিনি বলেন, হামাসের শর্তের মধ্যে এটাও ছিল যে মিসরের সাথে থাকা রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজায় বাধাহীনভাবে সাহায্য আসার সুযোগ দিতে হবে, জ্বালানিও আসতে দিতে হবে। আর যুদ্ধবিরতি হতে হবে গাজার সব স্থানে।

হামদান আল জাজিরাকে বলেন, ‘যখন সকল সমঝোতা হয়ে গেল, তখন ইসরাইলিরা তা স্থগিত করল। এতে বোঝা যাচ্ছে, তারা সমঝোতার ব্যাপারে আগ্রহী নয়। তারা সমঝোতাটি অস্বীকার করেনি। কিন্তু সমঝোতার পর তারা নতুন শর্ত চাপিয়ে দিতে চায়।’

তিনি বলেন, ইসরাইলিরা আরো বন্দীর নাম জানতে চায়। কিন্তু হামাস বলছে, গাজার বিভিন্ন গ্রুপের কাছে অনেকে থাকায় তাদের পক্ষে সবার নাম সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘ইসরাইলি পক্ষ যদি আজ মধ্যস্ততায় ফিরে আসে, আমরা তবে সমঝোতা বাস্তবায়নে প্রস্তুত আছি।

গাজা থেকে সরিয়ে নেয়া প্রথম রুশ দল কায়রো পৌঁছেছে
গাজা উপত্যকা থেকে সরিয়ে নেয়া ৭০ জনের প্রথম রুশ দলটি কায়রোয় রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়ের অপারেশনাল সদর দফতরে পৌঁছেছে। রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের এক সংবাদদাতা এ কথা জানান।

রুশ নাগরিকদের বহনকারী তিনটি মিনিবাস সদর দফতরের কাছের একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে পৌঁছেছে। উদ্ধারকারীদের সাথে চিকিৎসা কর্মীদের দল ও জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা দেখা করেন।

অপারেশন প্রধান, রুশ জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রীর উপদেষ্টা ড্যানিল মার্টিনভ বলেন, যতক্ষণ না গাজা ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক এক হাজারের বেশি রুশ নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ান জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়ের অপারেশনাল গ্রুপটি মিসরে থাকবে। তিনি বলেন ‘সবাইকে সরিয়ে নিতে যত দিন লাগবে আমরা তত দিন এখানে থাকব। আমরা তখনই চলে যাব যখন শেষ স্বদেশী বা সাহায্যপ্রার্থী ব্যক্তিকে বের করে নিয়ে বিমানে তুলে দেয়া হবে।’

তিনি জোর দেন যে অপারেশনাল গ্রুপ কয়েক দিনের মধ্যে সমস্ত রাশিয়ান নাগরিক এবং সাহায্যপ্রার্থীদের প্রায় এক হাজার লোককে সরিয়ে নিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘যদি চেকপয়েন্টটি খোলা থাকে তবে আমাদের কয়েক দিনের প্রয়োজন হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘অপারেশনাল গ্রুপটি গত তিন দিন ধরে সীমান্ত ক্রসিংয়ের অনুমতির অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু চেকপয়েন্টটি সরিয়ে না দেয়ায় ইসরায়েল অ্যাম্বুলেন্সগুলিকে যেতে দেয়নি।

ইতোপূর্বে বলা হয়েছে যে, গাজা উপত্যকা থেকে সরিয়ে নেয়া ৭০ জন রাশিয়ানের প্রথম দল কায়রোতে রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়ের অপারেশনাল সদর দফতরে পৌঁছেছে।

ড্যানিল মার্টিনভ বলেন, গাজা উপত্যকা থেকে সরিয়ে নেওয়া ৭০ জন রাশিয়ানের প্রথম দলটি ১৩ নভেম্বর সকালে মস্কোর উদ্দেশে রওনা হবে। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ১০ টায় আমরা কায়রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হচ্ছি। সেখানে মস্কোর একটি বিমান আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।’ তিনি আরো জানান, প্রথম ৭০ জন অপারেশনাল হেডকোয়ার্টারে পৌঁছেছে।

সূত্র : আল জাজিরা, তাস এবং অন্যান্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *