টঙ্গী ( গাজীপুর) প্রতিনিধি : বিএনপি- জামায়াতের নাশকতার আশংকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলরুটে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
টঙ্গী- জয়দেবপুর নিয়ে গঠিত গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মুরাদ ( ইউএনও) এই সংবাদ নিশ্চিত করেন।
ইউএনও বলেন, জয়দেবপুর ও টঙ্গীতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে আনসার ও গ্রাম পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দুই দিনের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দশজন গ্রাম পুলিশ সদস্য মোতায়েন আছে। রেলওয়ের নিরাপত্তার জন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আনসার মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গাজীপুর সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা গণেশ যাদব বলেন, ৬টি পয়েন্টে ৫৮ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পয়েন্টগুলি হলো, ধীরাশ্রম পাকা রাস্তার মোড়, বি আর টি সি ডিপো, শিববাড়ি বাস স্ট্যান্ড, ভাওয়াল রেলস্টেশন, জয়দেবপুর রেল স্টেশন, ধীরাশ্রম রেল স্টেশন।
জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ( পরিদর্শক) শহিদুল ইসলাম বলেন, টঙ্গী-জয়দেবপুরে সাতটি বেঙ্গল থানার ১২ টি রেলস্টেশন রয়েছে। প্রতিটি স্টেশনে ৪ জন করে ৪৮ জন আনসার অতিরিক্ত মোতায়েন করা হয়েছে।
টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ( এসআই) ছোটন শর্মা বলেন, আমার অধীন পাঁচটি রেলওয়ে গেট আছে। প্রতিটি গেটে চারজন করে আনসার আছে।
সরেজমিন জয়দেবপুর- টঙ্গী স্টেশনের মাঝামাঝি হায়দরাবাদ রেলক্রসিং এ দেখা যায়, তিনজন আনসার দায়িত্ব পালন করছেন। তারা হলেন, এপিসি মাসুদ রানা, আনসার সদস্য আবু সিদ্দিক ও ইউসুফ।
এপিসি মাসুদ রানা বলেন, প্রতিটি রেল ক্রসিং গেটে তিনজন করে আনসার সদস্য মোতায়েন আছে। যে কোন নাশকতা এড়াতে আমরা সতর্ক আছি।
এছাড়াও রেললাইন সংরক্ষণ ও মেরামতের কাজে রেলওয়ের প্রায় সকল স্থানে সকল কর্মীদের রেললাইনের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য মাঠে রাখা হয়েছে।
জয়দেবপুর রোলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো: হানিফ আলী বলেন, মোট ১৩টি পয়েন্টে চারজন করে আনসার সদস্য মোতায়েন আছে।
প্রসঙ্গত: গত দুই দিনে দেশের দুটি জায়গায় নাশকতাকারীরা রেললাইন তুলে ফেলার চেষ্টা করে। এরপর সারাদেশে রেললাইনের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করে সরকার। এর অংশ হিসেবে টঙ্গী- জয়দেবপুর রেললাইনের অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।