শনিবার (১১ নভেম্বর) ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এইড) গ্রুপ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্টে লিখেছে, আল শিফা হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করা লোকদেরকে ইসরাইলি বাহিনী গুলি করে হত্যা করছে। আমাদের কর্মীরা এই ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, ইসরাইলি ট্যাঙ্কগুলো আল-কুদস হাসপাতাল থেকে মাত্র ২০ মিটার (৬৫ ফুট) দূরে ছিল।
তারাও নিজেদের এক্স একাউন্টে লিখেছে, দখলদার বাহিনী সরাসরি হাসপাতালে গুলি চালিয়েছে। এতে বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ও ভয় বিরাজ করছে।
ইসরাইল গাজায় হামলা বন্ধ না করলে যে হুঁশিয়ারি দিলো হিজবুল্লাহ
গাজায় ইসরাইলের আক্রমণে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড শেখ নাঈম কাসেম।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এ অঞ্চলে অত্যন্ত গুরুতর ও ভীষণ বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং এর পরিণতি কেউ আটকাতে পারবে না।’
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়, ইসরাইলি হামলায় সেখানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরকম একটা সময়েই বৈরুতে একটি সাক্ষাৎকারে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান ওই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
হিজবুল্লাহর ওই নেতা বলেন, ‘বিপদটা সত্যিই আসতে চলেছে। কারণ ইসরাইল বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বাড়াচ্ছে এবং বেশি সংখ্যায় নারী ও শিশুদের হত্যা করছে।’
তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলে আরো বিপদ ডেকে না এনে কি এই পরিস্থিতি চলতে পারে? আমার মনে হয় না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলের হামলা বাড়লে এই অঞ্চলের যুদ্ধের ঝুঁকিও বাড়বে।
‘প্রতি ক্ষেত্রেই একটি করে প্রতিক্রিয়া হবে,’ মন্তব্য করেন তিনি। ‘আল্লাহর দল’ হিজবুল্লাহর হাতে অনেক বিকল্প আছে বলে তিনি জানান।
সূত্র : আলজাজিরা