মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃ বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারপিট ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এতে আহত হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন নেতকর্মী। বিএনপি-জামায়াত এর ডাকা অবরোধের বিরুদ্ধে সমাবেশ করতে এসে পূর্ব বিরোধে এই সংঘর্ষে মূহুর্তেই যেন কলেজ ক্যাম্পাস পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। উল্লেখ আছে, বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা অবরোধের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর /২০২৩ইং, সকালে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। একই সময় কলেজে বর্তমান কমিটিতে প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া ছাত্রনেতা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদ হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে অপর পক্ষও অবস্থান নেয় ক্যাম্পাসে। পাল্টাপাল্টি শ্লোগানে বেঁধে যায় বিপত্তি, মূহুর্তেই পূর্বের বিরোধের জের ধরে দু-পক্ষের মাঝে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ।দেশীয় অস্ত্রের মহড়ায় এক মূহুর্তেই পুরো কলেজ ক্যাম্পাস পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আর সংঘর্ষে ছাত্রলীগের সভাপতি-যুগ্মসাধারণ সম্পাদকসহ আহত হন অন্তত ১৩ জন নেতাকর্মী। সভাপতি-সম্পাদকের অভিযোগ তাদের কোন পক্ষ নয় যারা হামলা করেছে তারা বিএনপি জামায়াত এর দোষর। ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে এসে তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, ছাত্রলীগের কথিত একটি পক্ষ বিনা উস্কানিতে তাদের ওপর হামলা চালায়। তাকেও ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করে। বাধ্য হয়ে তাদের প্রতিহত করা হয়েছে৷ তারা সবাই বিএনপি-জামায়াতের দোষর৷অন্য-দিকে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমান বলেন, এই কমিটি মেয়াদউত্তীর্ণ।সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিবাদ করতে গেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে তবে তারাই ক্যাম্পাসে প্রথম অবস্থান নিয়েছিলো বলে দাবি তাদের।প্রায় আধাঘন্টা এই সংঘর্ষ চলার পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে শান্ত হয় কলেজ ক্যাম্পাসের পরিবেশ।বগুড়ার স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের দুইপক্ষ ঝামেলা বাঁধলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুলিশের সামনে অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, এরকম কিছু চোখে পড়েনি। তবে সঠিক ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রকাশ থাকে যে , এক বছর আগে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয় তৌহিদ ও মাহফুজার গ্রুপের। এর আগে এই বিরোধ নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝোলানোসহ দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা মারপিটের ঘটনাও ঘটে।