যদিও সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়নি, তবে এক পা দিয়েই রাখলো নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা। বেঙ্গালুরুর এম চেন্নাস্বামীতে লঙ্কানদের দেয়া ১৭২ রানের লক্ষ্য ২৩.২ ওভারেই পেরিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড।
তবে এখনো নিউজিল্যান্ডকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের দিকে। পাকিস্তানের পরবর্তী ম্যাচ ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের পরবর্তী ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। উভয় দল হেরে গেলে কোনো হিসেব ছাড়াই শেষ চারে পৌঁছে যাবে কিউইরা। অন্যথায় রয়ে গেছে রানরেটের মারপ্যাঁচ। অবশ্য বেশ বড় ব্যবধানেই এখানে এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড। বিপরীতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে না পারায় এখানেই শেষ শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ মিশন।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতেই নিউজিল্যান্ড পাড়ি দেয় অর্ধেক পথ। ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রাবিন্দ্র ৮৬ রান যোগ করেন বিনা উইকেটে। ১২.২ ওভারে ভাঙে জুটি। ৪২ বলে ৪৫ করে আউট হন কনওয়ে। পরের ওভারেই আউট হন রাচিন। তার ব্যাটে আসে ৩৪ বলে ৪২ রান।
একই আক্ষেপে পুড়েন ডেরিয়েল মিচেলও। ফিফটি ছোঁয়া হয়নি তারও৷ ৩১ বলে ৪৩ করে আউট হন মিচেল। মাঝে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ১৪ রানে। জয় নিশ্চিত করতে পারেননি মার্ক চাপম্যানও, ৬ বলে ৭ রানে করে আউট হন তিনি।
তবে বিপদ বাড়াতে দেননি গ্লান্ট ফিলিপস। ১০ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২৬.৪ ওভার বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড। ২৯ রানে ২ উইকেট নেন এঞ্জেলা ম্যাথিউস।
এর আগে বৃহস্পরিবার এম চেন্নাস্বামীতে টসে জিতে বোলিং নিয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে ভুল করেননি বোলাররা। শুরু থেকেই দিতে থাকেন আস্থার প্রতিদান।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। পাওয়ার প্লের মাঝে মাত্র ৭০ রানে তারা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট! যেখানে কুশল পেরারা একাই করেন ২৮ বলে ৫১, বাকিদের কেউ পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে। একাই তিন উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ড।
মাত্র ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। পাথুম নিশাঙ্কাকে ২ রানে ফেরান সাউদি। এরপর টানা বোল্টের আঘাত। পঞ্চম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে ভেঙে দেন টপ অর্ডার। কুশল মেন্ডিসকে ৬ ও সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ফেরান ১ রানে।
আর নবম ওভারে এসে বোল্ট আসালাঙ্কাকে ফেরান ৮ রানে। পরের ওভারে ফার্গুনসন বিধ্বংসী হয়ে উঠা পেরারাকে ফেরালে ৭০ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
সেখান থেকে দলকে টানেন এঞ্জেলা ম্যাথিউস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। গড়ে তোলেন ৩৪ রানের জুটি।
দলের সংগ্রহ ১০০ পার হতেই দ্রুত ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ম্যাথিউসকে ১৬ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সান্টনার। ডি সিলভাও ফেরেন সান্টনারের বলে, ১৯ রানে। করুনারত্নে ১৭ বলে ৬ ও চামিরা ২০ বলে করেন ১ রান।
লঙ্কানদের ইনিংস লম্বা হয় থিকসানার কল্যাণে। দারুণ ব্যাট করেন এই স্পিনার। শেষ উইকেট জুটিতে মাদুশঙ্কাকে নিয়ে ৮৮ বল খেলে ৪৩ রান যোগ করেন থিকসানা। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৯১ বলে ৩৮ রানে। মাদুশঙ্কার ব্যাটে আসে ১৯ রান। লঙ্কানরা থামে ৪৬.৪ ওভারে ১৭১ রানে।