দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পাত্তা পেলো না নিউজিল্যান্ডও

Slider খেলা


চলতি বিশ্বকাপে আগুন ফর্মে দক্ষিণ আফ্রিকা। ছয় ম্যাচে মাত্র একটি হার, নেদারল্যান্ডসের কাছে। আরেকটিতে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত নাটকীয় জয় পায়। বাকি চার ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দাপট দেখিয়ে একপেশে জয়। বুধবার পাত্তা পেলো না নিউজিল্যান্ডও। টানা তৃতীয় ম্যাচ তারা হারলো ১৯০ রানে। তাতে আরও উন্মুক্ত হলো সেমিফাইনালের লড়াই। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার শেষ চারে খেলার আশা আরও উজ্জ্বল হলো।

সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে থেকে দুই নম্বরে ভারত। তিন নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে নিউজিল্যান্ড, তারা অজিদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে।

উড়তে থাকা পাকিস্তান ভারতের কাছে হারের পর টানা চার ম্যাচ হেরে যায়। মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ে ফেরার পর ওপেনার ফখর জামান মেনে নেন, ভারতের কাছে হারের পর তালগোল পাকিয়ে ফেলে পাকিস্তান। একই দশা নিউজিল্যান্ডেরও! টানা চার ম্যাচ জেতার পর ভারতের কাছে হার মানতে হয়। তারপর থেকে হারের বৃত্তে কিউইরা, যা ভাঙতে পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও। টানা হারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো তিনে।

টানা দুই ম্যাচ হারের পর পুনেতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে যেখানে অন্য দল টস জিতে ব্যাটিং নিতে মুখিয়ে ছিল প্রতিপক্ষরা, সেখানে নিউজিল্যান্ড উল্টো সিদ্ধান্ত নেয়। তারা আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তারপর যা হওয়ার তাই হলো, চলতি বিশ্বকাপে চার ম্যাচেই প্রথমে ব্যাটিং করে তিনশর বেশি স্কোর করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারও ভিন্ন কিছু হয়নি। কুইন্টন ডি কক ও রাসি ফন ডার ডুসেনের সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৩৫৭ রান করে তারা। রেকর্ড রান তাড়া করে জিততে হতো নিউজিল্যান্ডকে। পারেনি তারা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হার মেনেছে গতবারের রানার্সআপ দল।

পাওয়ার প্লেতে ডেভন কনওয়ে (২) ও রাচিন রবীন্দ্রকে (৯) ফিরিয়ে মার্কো ইয়ানসেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন।

১৯তম ওভারের মধ্যে উইল ইয়াং (৩৩), টম ল্যাথাম (৪) ও ড্যারিল মিচেল (২৪) ফিরে যান। একশ রান হতেই টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটার প্যাভিলিয়নে। একপ্রান্তে ক্রিজ কামড়ে পড়ে ছিলেন গ্লেন ফিলিপস। আর ঘূর্ণি দিয়ে কেশব মহারাজ নাকানিচুবানি খাওয়ান নিউজিল্যান্ডকে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের মাঝে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে মাঠ ছাড়া পেসার ম্যাট হেনরি শেষ জুটিতে ব্যাট করতে নামেন। তাতে লাভ হয়েছে ফিলিপসের। ৩৫তম ওভারে মহারাজের প্রথম তিন বলে চার, ছক্কা ও চার মেরে ৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। পরের ওভারে তাকে আউট করে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় নিশ্চিত করেন জেরাল্ড কোয়েটজে। দুজনের ৩৪ রানের জুটি ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৫০ বলে চারটি করে চার ও ছয়ে ৬০ রান করেন ফিলিপস। ৩৫.৩ ওভারে ১৬৭ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ১১৮ বলে ১৩৩ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন ডুসেন। বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার েসরা বোলার মহারাজ। চার উইকেট নেন তিনি ৪৬ রান দিয়ে। ইয়ানসেন পান তিন উইকেট।

ছয়বারের প্রচেষ্টায় ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই প্রথমবার নিউজিল্যান্ডকে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ওয়ানডেতে কিউইদের বিপক্ষে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় জয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *