ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। টপ অর্ডারে বিপর্যয়, মিডল অর্ডারের প্রতিরোধ, মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে রান; সেই পুরনো চিত্রনাট্য। পাকিস্তানের বিপক্ষেও বদলায়নি গল্প। ইডেন গার্ডেনে ৪৫.১ ওভারে মাত্র ২০৪ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
আসর জুড়ে ব্যর্থ উদ্বোধনী জুটি৷ আজও যার ব্যতিক্রম হয়নি। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারত বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো রান যোগ হবার আগেই ভাঙে ওপেনারদের যুগলবন্দী। প্রথম ওভারেই শাহিন আফ্রিদিকে ডাক উপহার দেন তানজিদ তামিম।
এদিকে রান করতে যেন ভুলেই গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ম্যাচে ৫৯* রানের ইনিংস খেলার পর পরের ছয় ম্যাচে তার ব্যাটে কেবল এসেছে ২৮ রান। আজ ফেরেন ৪ রানে। তিনিও শিকার শাহিন আফ্রিদির। ৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
চারে নেমে ইনিংসের হাল ধরা হয়নি মুশফিকুর রহিমের। নিজের কাজটা করা হয়নি মি. ডিপেন্ডেবলের। ৮ বলে ৫ রানে হারিস রউফের শিকার তিনি। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে দল।
এমতাবস্থায় হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ। প্রমোশন পেয়ে পাঁচে নেমে লিটনকে নিয়ে গড়েন প্রতিরোধ। ৯০ বল থেকে ৭৯ রানের জুটি গড়েন দু’জনে। ভালোই চলছিলো দু’জনের জোট। তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ইফতেখার। দলের সংগ্রহ তিন অংক পেরোতেই ফেরান লিটনকে। ৬৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন লিটন।
ফিফটি পূরণ করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহও। শাহিন আফ্রিদির তৃতীয় শিকার হন তিনি। সাতে নেমে টেকেননি তাওহীদ হৃদয়ও। উসামা মীরের শিকার হয়ে ফেরেন ৩ বলে ৭ করে। ৩১.৩ ওভারে ১৪০ রানে ৬ উইকেট হারায় দল। মাহমুদউল্লাহ ফিরেন ৭০ বলে ৫৬ রানে।
শুরুটা নড়বড়ে হলেও ধীরে ধীরে নিজেকে সামলে নিয়েছিলেন সাকিব। মেহেদী মিরাজের যুগলবন্দীতে যোগ হয় ৪৫ রান। রানের গতিও গড়ে প্রায় ছয় ছু্ঁই ছুঁই।
তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলকে বিপদে ফেলে হারিসের বলে ক্যাচ দিয়েছেন ৬০ বলে ৪৩ করে। আসরের ছয় ম্যাচে পঞ্চমবার শর্ট বলে ফিরলেন সাকিব।
৩৯.৩ ওভারে সাকিব ফিরলে বেরিয়ে আসে ইনিংসের লেজ। দলকে দুই শ’ ছুঁইয়ে ফেরেন মেহেদী মিরাজ। ৩০ বলে ২৫ রান করেন তিনি। তাসকিন-মোস্তাফিজও আর টানতে পারেননি।