বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ক্রমাবনতিশীল শারীরিক অবস্থার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। একইসাথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মিলার। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানাবে? কেননা স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে- খালেদা জিয়ার বিচারে স্বচ্ছতার ঘাটতি রয়েছে এবং এই বিচারিক প্রক্রিয়া তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে রাখার একটি ষড়যন্ত্র। গণমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে ছুটে গেছেন এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। ভয়েস অব আমেরিকার ইংরেজি বিভাগের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বাধার কারণে মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?’
জবাবে মিলার বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ক্রমাবনতিশীল শারীরিক পরিস্থিতির বিষয়টি আমরা মনিটর করছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানাই, তারা যেনো খালেদা জিয়ার জন্য নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ আইনি ব্যবস্থা পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে।’
২৮ অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় বিরোধীদলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারের আক্রমণাত্মক অবস্থানের কথা তুলে ধরে ওই সাংবাদিক অপর এক প্রশ্নে জানতে চান, ‘২৮ অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় বিরোধীদলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে সরকার। তারা প্রতিদিন বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। সরকার চাচ্ছে যেকোনোভাবে হোক মহাসমাবেশে বাধা প্রদান করতে। আপনি এবং রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বার বার বলেছেন- বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহ যেনো নিশ্চিত করা হয়, যাতে করে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?’
জবাবে মিলার বলেন, ‘আমদের অবস্থান একই এবং বিশ্বাস করি যে, আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ।’