ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বিভিন্ন সমস্যাগুলো স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসকদের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার (২৯ জুলাই) পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে আরো সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য নানা বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের প্রস্তাব শুনেছি। ভারতের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বাংলাদেশের জেলা প্রসাশক ও ভারতের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাই স্থানীয় নানা সমস্যার সমাধান স্থানীয়ভাবে করা গেলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আরো অনেকগুলো সীমান্ত হাট হচ্ছে। বিভিন্ন সীমান্তে যেখানে রেলওয়ে সংযোগ ছিল, সেগুলো ফের চালু করা হচ্ছে। আগরতলার সঙ্গে নতুন সড়ক-রেল যোগাযোগ, ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরনার্থীসহ চলমান নানা সমস্যার বিষয়ে জেলা প্রসাশকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা মারা গেলে তাদের মরদেহ দ্রুত দেশে আনার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। কোনো কোনো সময় পরিস্থিতির কারণে মরদেহ আনতে দেরি হয় জানিয়ে তিনি বর্তমানে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করা লিবিয়ার কথা উল্লেখ করেন। যেখানে সম্প্রতি দু’জন বাংলাদেশি নিহত হলেও, বাংলাদেশ দূতাবাস সেখান থেকে স্থানান্তর হওয়ায় তাদের মরদেহ দেশে আনা সহজ নয় বলে জানান মন্ত্রী। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, বৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ বাড়ানো হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আশা করি এবার অবৈধভাবে সাগরপথে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।