তুরস্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে সকল কূটনীতিককে প্রত্যাহার করছে ইসরাইল। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইসরাইল।
নিরাপত্তাগত কারণে তুরস্কে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ইরিত লিলিয়ানসহ ইসরাইলি সকল কূটনীতিক তুরস্ক ত্যাগ করেছেন। ইহলাস নিউজ অ্যাজেন্সি জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশ থেকেও কূটনীতিকদের প্রত্যহার করছে ইসরাইল।
একটি সূত্র পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এটি সাময়িক ব্যবস্থা। এটি স্বল্প মেয়াদে থাকবে।’
ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার বিকেলে তুরস্ক থেকে সকল কূটনীতিককে সম্ভব যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসার নির্দেশ দেয়।
বুধবার ইস্তাম্বুলের কনস্যুলেট জানায়, ক্রমবর্ধমান ‘সন্ত্রাসী হুমকির’ মুখে তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য চলে যাচ্ছে। কনস্যুলারের এক মুখপাত্র এএফপিকে জানান, সতর্ককতার মাত্রা সর্বোচ্চ চারে দাঁড়িয়েছে।
গত বছর ইসরাইল ও তুরস্ক তাদের পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে।
এবার গাজার অর্থোডক্স চার্চে ইসরাইলি হামলা
এবার গাজার একটি অর্থোডক্স চার্চে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে অন্তত আটজন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো কয়েকজন। হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানায়, গাজার আল-জয়তুন এলাকার সেন্ট পরফিরাস চার্চে বৃহস্পতিবার হামলা চালানো হয়েছে।
ওয়াফা জানায়, বোমা হামলায় কাউন্সিল অব চার্চ স্টেওয়ার্ডসের ভবনটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। খ্রিস্টান ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের সদস্যই ছিল তারা। তারা অব্যাহত ইসরাইলি বোমা হামলার মুখে সেখানে গিয়েছিল।
আল জাজিরা আরাবিকের একটি ভিডিও ক্লিকে দেখা যায়, বোমায় আহত দু্জন অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজার একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে যাচ্ছেন।