দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার পর্যন্ত ২০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে, যা গত ৪ অক্টোবর ছিল ২১ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি বিল পরিশোধে ব্যাংকগুলোকে সহায়তা অব্যাহত রাখায় এমনটি হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মার্কিন ডলারের সবচেয়ে বড় দুটি উত্স রপ্তানি ও প্রবাস আয় প্রত্যাশার চেয়ে কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রিজার্ভ থেকে ৩.৭৫ বিলিয়ন ডলার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করেছে। আগের অর্থবছরে ডলার সংকট কিছুটা লাঘব করতে এবং ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় মান ধরে রাখতে মোট ১৩.৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায় বাদ দেওয়া হলে বাংলাদেশের নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
তিনি বলেন, আইএমএফের ফর্মুলা অনুযায়ী মোট যে রিজার্ভ তা এখন বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত রিপোর্ট করছে।
সেটা এখন প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু সেখান থেকে আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের যে দায়গুলো আছে সেগুলো বাদ দিতে হয়। আইএমএফ যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সেটা হলো নিট বেসিসে। ওই নিট রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়নের মতো বা তার একটু নিচে চলে এসেছে।