গাজার হাসপাতালে ইসরাইলি বোমা হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি বড় শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি শহরে রাতেই ফিলিস্তিনিরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। বিভিন্ন জায়গায় তারা পাথর ছুঁড়তে থাকেন নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে।
সেখানে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়া হয়। একপর্যায়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
অন্যদিকে লেবাননের রাজধানী বেইরুতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের সামনে হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়।
এছাড়া ফরাসি দূতাবাসের বাইরে আরেকটি দল জড়ো হয় এবং ভবনটি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে বলে জানা গেছে।
এর বাইরে ত্রিপোলি এবং লিবিয়ার অন্যান্য শহরেও শত শত মানুষ ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করে এবং গাজাবাসীদের সমর্থনে স্লোগান দেয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজা সিটির আল-আহলি আল-আরবি হাসপাতালে বিমান হামলা হয়। এ ঘটনায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগঠন হামাস ও ইসরাইল একে অপরকে দোষারোপ করছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা শহরের কেন্দ্রস্থল আল-আহলিল আরব হাসপাতালে ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
সূত্র : বিবিসি ও আল-জাজিরা