মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাসকে অবশ্য ধ্বংস করতে হবে। তবে একটি ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথও’ থাকতে হবে। সিবিএসের ৬০ মিনিটস অনুষ্ঠানে আজ সোমবার (যুক্তরাষ্ট্রের সময় রোববার) এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, হামাস ‘হলোকাস্টের মতো বর্বরতায় সামিল হয়েছে।’
গাজায় যুদ্ধবিরতি হওয়া উচিত কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জবাব দেয়ার অধিকার ইসরাইলের আছে।’ তিনি এর মাধ্যমে কার্যত গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের প্রবল হামলার প্রতিই সমর্থন ঘোষণা করলেন।
তিনি বলেন, ‘তাদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। হামাস হলো ভীরুদের একটি দল। তারা বেসামরিক নাগরিকদের পেছনে লুকিয়ে আছে।’
তিনি বলেন, ইসরাইলের ফের গাজা দখল হবে ‘একটি বড় ভুল।’
তিনি বলেন, ‘এখানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ থাকা উচিত। একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকা দরকার।’
বাইডেন স্বীকার করেন যে ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার পর ইসরাইল এখনই সম্ভবত দ্বিরাষ্ট্র সমাধানে রাজি হবে না। তবে তিনি যুক্তি দেন যে জেরুসালেমকে বুঝতে হবে যে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরাট অংশ হামাস ও হিজবুল্লাহর দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করে না।
চীনের রাষ্ট্রদূত আগামী সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সফর করবেন
ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনার জন্য চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাই জুন আগামী সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সফর করবেন। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি রোববার এ কথা জানিয়েছে।
সিসিটিভি রবিবার তার অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বলেছে, যুদ্ধবিরতির জন্য বিভিন্ন পক্ষের সাথে সমন্বয়, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং শান্তি আলোচনার জন্য ঝাই ‘আগামী সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সফর করবেন।’
গাজায় ইসরাইলের স্থল আক্রমণের প্রস্তুতির মধ্যে সিসিটিভি’র এই রিপোর্ট এসেছে
জনাকীর্ণ ছিটমহলের উত্তর অংশের এক মিলিয়নেরও বেশি লোককে স্থল হামলার আগে পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। মানবিক সহায়তাকারী গোষ্ঠীগুলো বলেছে, এটি একটি বহির্গমন যা মানবিক বিপর্যয় শুরু করবে।
গাজা একটি সঙ্কুচিত এবং দরিদ্র অঞ্চল, যেখানে ২.৩ মিলিয়ন বাসিন্দা বসবাস করে। ২০০৬ সাল থেকে গাজা ইসরায়েলের স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র অবরোধের অধীনে রয়েছে।
গাজায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরাইলের হামলায় ২,২০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
বেইজিংয়ের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সংঘাতে ‘গঠনমূলক এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার’ আহ্বান জানিয়েছেন এবং ‘বিস্তৃত ঐক্যমতে পৌঁছানোর জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি আন্তর্জাতিক শান্তি বৈঠক ডাকার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঝাই শুক্রবার চীনে আরব লীগের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করেছেন এবং বলেছেন, বেইজিং ‘ফিলিস্তিন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে’ আঞ্চলিক গ্রুপটিকে সমর্থন করবে।
তিনি ব্লককে বলেছেন, বেইজিং ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালাবে।’
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, এএফপি