শুরুটা দারুণ ছিল আফগানিস্তানের। শতরান আসে উদ্বোধনী জুটিতেই। একটা সময় মনে হচ্ছিলো অনায়াসেই ৩০০ পেরোবে সংগ্রহ। কিন্তু সেই আশায় পানি ঢেলে দেয় মিডল অর্ডার, ভেঙে যায় ইনিংসের মেরুদণ্ড। শেষ দিকের ব্যাটাররা চেষ্টা করেছিলেন বটে, তবে ২৮৪ রানের বেশি নিতে পারেননি সংগ্রহ।
রোববার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ইনিংসের শুরুতে ইংল্যান্ডকে ভড়কে দিয়েছিল আফগানিস্তান। ভয় ধরিয়ে দেয় বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মনে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ভয়ংকর হয়ে উঠে আফগানরা। পাওয়ার প্লেতেই যোগ করে ৭৯ রান। যেখানে বড় অবদান গুরবাজের, মাত্র ৩৩ বলে তুলে নেন ফিফটি।
দ্রুত ছুঁয়ে ফেলেন তিন অংকের ঘরও। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই যুগলবন্দী ভাঙেন আদিল রাশিদ। ফেরান ইবরাহীম জাদরানকে। ততক্ষণে অবশ্য ১৬.৩ ওভারে ১১৪ রান চলে আসে। ইবরাহীম আউট হন ৪৮ বলে ২৮ রানে। পরের ওভারে এসে রহমত শাহকেও (৩) ফেরান রাশিদ। তাতে ইংলিশরাও ম্যাচে ফেরে।
পরের গল্পটা যেন পুরনো চিত্রনাট্যের মতোই। দুর্দান্ত শুরুর পর আরো একবার চোখের পলকে ভেঙে পড়ে আফগানিস্তানের মিডল অর্ডার। ১২২ রানেই ৩ আর ১৯০ রানে হারায় ৬ উইকেট। এই সময়ে ফেরেন বিধ্বংসী হয়ে উঠা গুরবাজও। তার দুর্দান্ত ইনিংসটা চাপে পড়ে রান আউটে।
বাটলারের থ্রোতে যখন ফেরেন, নামের পাশে তখন ৫৭ বলে ৮০ রান। শতক না পেলেও তার ইনিংসটা চোখে লেগে থাকবে। ওকস-কারানদের পাত্তা না দিয়ে যেভাবে সাজান ইনিংস, ইংল্যান্ড দলও তা নিশ্চয়ই অনেকদিন মনে রাখবে।
আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদিও ব্যর্থ ছিলেন, ফেরেন ৩৬ বলে ১৪ রানে। দারুণ ছন্দে থাকা আজমতুল্লাহ ওমরজাইও ইনিংস টানতে পারেননি, ১৯ রান আসে তার ব্যাটে। মোহাম্মদ নাবি আজও ব্যাট হাতে রাখতে পারেননি কার্যকরিতা, মাত্র ৯ রানে আউট হন। ৩৬.১ ওভারে ১৯০ রানে ৬ উইকেট হারায় আফগানরা।
ইকরাম আলি ও রাশিদ খান চেষ্টা করেন ইনিংসটা টেনে নিতে। তবে এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ান আদিল রাশিদ। দু’জনের ৪৩ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। রশিদকে ফেরান রাশিদ, ২২ বলে ৩৩ রান আসে আফগান রশিদের ব্যাটে।
এইদিন নিজের ব্যাটিং প্রতিভা জানান দেন মুজিবুর রহমানও। ইকরামের সাথে মিলে মাত্র ২৫ বলে ৪৪ রান যোগ করেন। ৬২ বলে ৫৮ রান করেন ইকরাম। মুজিব ফেরেন ১৬ বলে ২৮ রান করে। শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকি থাকতেই ২৮৪ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট নেন আদিল রাশিদ, জোড়া উইকেট ঝুলিতে ভরেন মার্ক উড।