রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নয়জন শীর্ষ নেতা।
রোববার দুপুরে তারা এভারকেয়ার হাসপাতালে যান এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে খোঁজখবর নেন।
খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়া ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা মহিউদ্দীন ইকরাম, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল সাকিব, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
পরে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন জোটের শীর্ষ নেতা ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন আছে। ১২ দলীয় জোটের নেতারাও আশঙ্কায় আছে। আমরা ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এসেছিলাম। সিনিয়র চিকিৎসকরা আমাদের বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেছেন। আমরা সকলেই তার জন্য দোয়া করি, আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু দান করেন। তবে তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখেছেন। কিন্তু তার শারীরিক জটিলতা খুবই ক্রিটিক্যাল। তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন। এজন্য তার সুস্থতাও দরকার। এতোকিছুর পরও চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা দেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে তাকে বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিন। তাকে অবিলম্বে মানবিক কারণে বিদেশে পাঠানো হোক। নচেত যেকোনো সময় খালেদা জিয়ার দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।