কেন তাদের আনপ্রেডিক্টেবল বা অনিশ্চিত বলা হয়, আহমেদাবাদে যেন তা আরো একবার প্রমাণ করলো পাকিস্তান। একটা সময় যেখানে মনে হচ্ছিল অনায়াসেই ৩০০ পার হয়ে যাবে সংগ্রহ, সেখানে ২০০’ও স্পর্শ করতে পারেনি। ৪২.৫ ওভারে ১৯১ রানে গুটিয়ে গেছে ইনিংস।
আহমেদাবাদে এদিন হঠাৎ ঝড়ে যেন লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পাকিস্তান। মুহূর্তেই এলোমেলো হয়ে যায় তাদের ব্যাটিং অর্ডার। চোখের পলকিই ভেঙে পরে ইনিংসের মেরুদণ্ড। ২৯.৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৫৫ রান থেকে পাকিস্তান পরিণত হয় ৩৫.২ ওভারে ১৭১/৭-এ।
৩৫ বলের ব্যবধানে মাত্র ১৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধসে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। যার শুরুটা হয় বাবর আজমকে দিয়ে। পাকিস্তান অধিনায়ককে ৩০তম ওভারে ফেরান সিরাজ। ৫৮ বলে ৫০ করে আউট হন তিনি। ভাঙে রিজওয়ানের সাথে তার ৮০ রানের জুটি। সেই সাথে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দলের মিডল অর্ডার।
এক ওভার পরের কুলদীপ যাদবের জোড়া শিকার, আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি পাকিস্তান। একই ওভারে ফেরেন পাঁচে নামা সৌদ শাকিল ও ছয়ে আসা ইফতেখার আহমেদ। ১০ বলে ৬ করে এলবিডব্লিউ হন শাকিল, ইফতেখারের স্ট্যাম্প ভাঙা পড়ে ৪ বলে ৪ করে।
৩৩তম ওভারে ফেরেন পাকিস্তানের ভরসা হয়ে থাকা রিজওয়ান। বুমরাহর শিকার হন ৬৯ বলে ৪৯ রানে। এখানেও শেষ হয়নি ধস। এক ওভার পরে এসে সহ-অধিনায়ক শাদাব খানকেও ফেরান বুমরাহ। ৭ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এই পেসার।
দ্রুত পাঁচ উইকেট হারিয়ে লেজ বেড়িয়ে আসে পাকিস্তানের ইনিংসের। হাসান আলি ১৯ বলে ১২ করে শিকার হন জাদেজার। আর কেউ পারেননি দুই অংকের ঘরে যেতে। শেষ পর্যন্ত ৪২.৫ ওভারে মাত্র ১৯১ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস।
এর আগে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের দেখেশুনে খেলে দুই ওপেনার রান বাড়াতে থাকে স্কোরবোর্ডে। অষ্টম ওভারে এসে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ফেরেন আব্দুল্লাহ শফিক।
আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শতক হাঁকানো আব্দুল্লাহ ফেরেন ২৪ বলে ২০ রানে। ৪০ রান যোগ করেন ইমাম উল হকের সাথে। ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ইমামও৷ ৩৮ বলে ৩৬ করে লোকেশ রাহুলকে ক্যাচ দেন এই ওপেনার।
১২.৩ ওভারে ৭৩ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে বিপদ আর বাড়াতে দেননি বাবর-রিজওয়ান। চেপে ধরার সুযোগ দেননি ভারতীয় বোলারদের। সাচ্ছন্দ্যেই বাড়াতে থাকেন রান। ৮২ রান যোগ হয় তাদের যুগলবন্দীতে। এরপরই সিরাজের আঘাত, ফেরেন বাবর। আর ধসে পড়ে পাকিস্তানের ইনিংস।