খাবারের কথা ভুলে যাও, বিদ্যুতের কথা ভুলে যাও, জ্বালানির কথা ভুলে যাও। এখন একমাত্র উদ্বেগের বিষয় হলো তুমি কিভাবে বেঁচে থাকবে, কান্নারত অবস্থায় কথাগুলো বলছিলেন গাজা শহরের ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ।
বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানোনো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার উত্তর অর্ধেক থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি লোককে ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার পরে গাজার কিছু বাসিন্দারা নিরলস হামলার পথ থেকে বাঁচতে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল থেকে বেরিয়ে আসা রাস্তায় কয়েক হাজার বাসিন্দাকে দেখা গেছে কিন্তু তাদের সংখ্যা বলা অসম্ভব ছিল। আবার অনেকে বললো তারা যাবে না।
গাজার কিছু বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা মরতে যাচ্ছি, আমরা আমাদের বাড়িতেই মরতে যাচ্ছি। আমরা উত্তরে বা দক্ষিণে মরতে যাচ্ছি। আমরা আমাদের মাথা উঁচু করে মরতে যাচ্ছি। আমরা আমাদের জমিতে দাঁড়িয়ে আমাদের অধিকার নিয়ে দাঁড়িয়েছি এবং আমাদের বিশ্বাসকে শক্ত করে ধরে আছি।’
এদিকে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর গাজা খালি করার ইসরাইলি নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, তারা তাদের মাতৃভূমি ত্যাগ করবে না। তারা হয় শত্রুদের পরাজিত করবেন, কিংবা নিজের বাড়িতেই মরবেন।
ইসরাইল উত্তর গাজার ১১ লাখ বাসিন্দাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভূখণ্ডের দক্ষিঞ্চালয় ছেড়ে যেতে বলার প্রেক্ষাপটে হামাস এই মন্তব্য করে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করেছে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করেছে।
সূত্র : আল-জাজিরা