ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের চেলেরঘাট এলাকায় বাসের চাপায় পাঁচ গার্মেন্টসকর্মী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১০ জন ও মানিকগঞ্জে বাসের ধাক্কায় লেগুনার ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন জানান, সকালে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী এস এস ট্রাভেলসের একটি বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাটে চাকা পাংচার হলে যাত্রীরা অন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। সকাল ৮টার দিকে রাসেল স্পিনিংয়ের একটি বাস রাস্তার পাশে সাইড নিয়ে যাত্রী তুলছিল। এসময় পেছন থেকে একটি বাস দ্রুত গতিতে যাত্রীদের ওপর উঠে পড়লে বাসের চাপায় ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে একজন এবং হাসপাতালে আরো একজনের মৃত্যু হয়।
ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাদেকুর রহমান জানান, নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছে। আহত ১০ জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি তবে নিহত তিনজন গার্মেন্টসকর্মী বলে জানা যায়। দুর্ঘটনার পর কিছুক্ষণ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও এখন স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটবাউর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় লেগুনার ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ওই স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আব্দুর রউফ সরকার দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, যাত্রী নামানোর জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পেছন থেকে আকিজ গ্রুপের একটি স্টাফ বাস একটি লেগুনাকে সজোরে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে লেগুনাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা খালের পানিতে পড়ে যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ওসি আব্দুর রউফ সরকার বলেন, পানিতে ডুবে যাওয়ায় দুর্ঘটনাকবলিত লেগুনাটিতে থাকা আরো কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে।