রাজধানীর ভাটারা থানায় করা নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো: শাহজাহান, কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ আহসান হাবিব লিংকনসহ ১৫ জনের চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রায় প্রদান করেন। এ সময় পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দুই বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাভোগের আদেশ দেন তিনি।
এছাড়া অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধনের অভিযোগে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা, অনাদায়ে আরো এক মাস কারাভোগের নির্দেশ দেয়া হয়। এ সময় দুই ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।
কারাদণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মাদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম, তৌহিদুল ইসলাম, তুহিন, মনিরুল হক মনির, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, মো: আরিফ, মোহাম্মাদ নিশান মিয়া, মোহাম্মাদ মাহমুদুল হাসান সুমন, মোজাম্মেল হক।
এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন মোহাম্মাদ কফিল উদ্দিন, দ্বীন ইসলাম, মোহাম্মদ মামুন ও আমিনুল ইসলাম।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন কেবল আমিনুল ইসলাম। অপর আসামিরা আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জোটের সমর্থক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পরোক্ষ ইন্ধনে ৩০ থেকে ৪০ জন ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি স্মরণীতে জনসাধারণের চলাচলে গতিরোধ, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাসহ বাসে অগ্নিসংযোগ করে। এতে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ মো: সাজু মিয়া।