নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ছিলেন না একাদশে। নেই দলের সেরা দুই বোলার টিম সাউদি ও ইশ সোধি। তবুও ইংল্যান্ড দলকে বেশ চাপেই রেখেছিল কিউইরা। যদিও শেষ উইকেট জুটির কল্যাণে বলার মতোই রান তুলেছে ইংল্যান্ড, থেমেছে ৯ উইকেটে ২৮২ রানে।
জো রুট ছাড়া বড় ইনিংস আসেনি কারো ব্যাটে। অধিনায়ক জশ বাটলার চেষ্টা করেছিলেন বটে, তবে ইনিংসটাকে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানে রূপ দিতে পারেননি। বাকিরাও ভালো শুরু পেয়েছিলেন, তবে থিতু হতে পারেননি মাঠে। তবে লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় চোখ রাঙানো সংগ্রহই পেয়েছে থ্রি লায়ন্সরা।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। আহমেদাবাদে বেশ ভালো শুরু পেয়েছিল দলটি। ৭.৩ ওভারে তুলে ফেলেছিল ৪০ রান। তবে এরপরই শুরু হয় বিপত্তি, ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারছে না কেউ।
৭.৪ ওভারে ডেভিড মালান ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ম্যাট হ্যানরির শিকার হয়ে মালান ফেরেন ২৪ বলে ১৪ রানে। তিনে নামা জো রুটকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিলেন বেয়ারস্টো। তবে ১২.৫ ওভারের মাথায় সান্টনারের বলে ডেরিয়েল মিচেলকে ক্যাচ অনুশীলন করার বেয়ারস্টো। ৩৫ বলে ৩৩ করেন তিনি।
হ্যারি ব্রুক সাহসী শুরু করেছিলেন। রাচিন রবিন্দ্রকে জোড়া চার ও এক ছক্কায় তুলে নিয়েছিলেন ১৪ রান। তবে পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৬ বলে ২৫ রান আসে তার ব্যাটে। ৯৪ রানে ৩য় উইকেটের পতন হয় থ্রি লায়ন্সদের।
মইন আলি উঠে এসেছিলেন চারে। তবে তিনিও ব্যর্থ ইনিংস বড় করতে। ১৭ বলে ১১ করে গ্ল্যান ফিলিপসের বলে বোল্ড হন তিনি। ১১৮ রানে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে ইংলিশদের টানেন জো রুট ও জশ বাটলার। ৭২ বলে ৭০ রানের ইনিংস সর্বোচ্চ জুটি গড়েন দু’জনে।
৩৩.২ ওভারে ৪২ বলে ৪৩ করে আউট হন বাটলার। লিয়াম লিভিংস্টোনও ইনিংস টানতে পারেননি, ২২ বলে ২০ করে থামেন তিনি। দলের সংগ্রহ তখন ২২১/৬। এরপর ৩১ রান যোগ হতেই আরো ৩ উইকেট হারায় থ্রি লায়ন্সরা। ফেরেন একপ্রান্ত আগলে রাখা জো রুটও। ৮৬ বলে ৭৭ করে গ্লেন ফিলিপসের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
তাছাড়া স্যাম কুরান ১৪, ক্রিস ওকস ১১ করে আউট হন। তবে শেষ উইকেট জুটিতে ৩০ রান তুলে দলকে লড়াইয়ে রাখেন আদিল রশিদ ও মার্ক উড। রশিদ ১৫ ও উড করেন ১৩ রান।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট নেন ম্যাট হেনরি, দুটো করে উইকেট পান সান্টনার ও গ্লেন ফিলিপ।